ইথিওপিয়া যুদ্ধ পূর্ব আফ্রিকাকে অস্থিতিশীল করছে : ইইউ

তিগ্রাই অঞ্চলের বাহিনীর সঙ্গে ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনীর লড়াই পূর্ব আফ্রিকা এবং উপদ্বীপ (হর্ন) অঞ্চলকে মারাত্মকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

>>রয়টার্স
Published : 25 Nov 2020, 01:24 PM
Updated : 25 Nov 2020, 01:24 PM

এই বৈরিতার অবসান হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বরেল।

গত ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ওই লড়াইয়ে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৪১ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিবেশী সুদানে পালিয়ে গেছে। মিলিশিয়ারা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে বলেও খবর আসছে।

মঙ্গলবার ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর জোসেফ বরেল বলেন,  বাড়তে থাকা সহিংসতা, হতাহতের ঘটনা, মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করা নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

ইথিওপিয়া বিদ্রোহী তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে (টিপিএলএফ) আত্মসমর্পণের জন্য যে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তা শেষ হচ্ছে বুধবার সন্ধ্যাতেই। টিপিএলএফ এই আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান করেছে।

ওদিকে, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী বুধবার এক বিবৃতিতে তিগ্রাইয়ের লড়াইকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় অভিহিত করে আবারও এতে কোনওরকম হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

দুপক্ষের এই লড়াই বন্ধ করতে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) মধ্যস্থতার উদ্যোগকে সমর্থন জানানোর ইঙ্গিত দিয়ে বরেল বলেছেন, ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা যাতে আরও বেড়ে না যায় সেজন্য এটিই একমাত্র পথ।”

এইউ এর তিন দূতের বুধবারেই ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন দুই কূটনীতিক।

ইথিওপিয়ায় সংঘাত নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ বাড়তে থাকার মধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলো মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকরা।

তারা জানান, পরিষদের সদস্যরা ইথিওপিয়া যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে পরিষদ এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজার এবং তিউনিসিয়া আঞ্চলিক মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কিছু সময় চেয়েছে।