বিমানবন্দরে ফেলে যাওয়া সেই শিশুর বাবা-মার খোঁজ পেয়েছে কাতার

দোহার বিমানবন্দরে গতমাসে বাথরুমের বিনে ফেলে যাওয়া এক নবজাতকের বাবা-মাকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে কাতার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2020, 04:41 PM
Updated : 24 Nov 2020, 04:41 PM

শিশুটিকে ফেলে যাওয়ার ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে তার মায়ের খোঁজে বিমানবন্দরে নারী যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছিল।

কাতারের সরকারি কৌসুঁলিরা সোমবার জানিয়েছেন, এশিয়ার দেশের এক নারী শিশুটিকে ফেলে বিদেশে পালিয়েছেন।

ওই নারীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৫ বছরের জেল হতে পারে।

কৌসুঁলিরা আরও জানান, ডিএনএন পরীক্ষায় শিশুটির বাবাও এশীয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কাতার সরকার বলছে, দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন  লাউঞ্জে গত ২ অক্টোবর বাথরুমে ময়লা ফেলার একটি ঝুড়িতে নবজাত ওই কন্যা শিশুটিকে পাওয়া যাওয়ার পর থেকেই তার বাবা-মার খোঁজ শুরু হয়।

সিএনএন জানায়, শিশুটির মা তাকে বিমানবন্দরে ফেলে কোনও একটি ফ্লাইটে করে কাতার ছেড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ওই নারী কোথায় গেছেন সে সম্পর্কে কাতারের কৌসুলিরা তাদের বিবৃতিতে কিছু জানাননি। আর উদ্ধার পাওয়া শিশুটি এখন কাতার কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে আছে।

শিশুটিকে ময়লার ঝুড়িতে পাওয়ার পরপরই তার মায়ের সন্ধান পেতে অন্তত ১০টি ফ্লাইটের ১৮ জনেরও বেশি নারী যাত্রীকে নগ্ন করে ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

ওই নারীদের ১৩ জনই ছিলেন অস্ট্রেলীয়। ফলে অস্ট্রেলিয়ায় এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিমানবন্দরে এমন পরীক্ষার নিন্দা জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্য এবং নিউ জিল্যান্ডের নারী যাত্রীরাও এই পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ করে।

বিবিসি জানায়, কাতারের কৌসুলিরা সোমবার বলেছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের যেসব কর্মকর্তারা এমন ডাক্তারি পরীক্ষা চালিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

 বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা নারী যাত্রীদের এভাবে পরীক্ষা করিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের তিন বছরের জেল হতে পারে।