কর্তৃপক্ষ বলছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মালয়েশিয়ার ‘টপ গ্লাভ’ ২৮ টি প্ল্যান্ট পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেবে।
বিবিসি জানায়, করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকেই কোম্পানিটিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা অনেকাংশে বেড়েছে।
তাছাড়া, কোম্পানির কারখানাগুলোতে স্বল্প-মজুরির অভিবাসী শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ নিয়েও উদ্বেগ আছে।
সোমবার মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, টপ গ্লাভের কারখানা এবং ডরমিটরি যেখানে আছে সেসব এলাকায় কোভিড-১৯ এর প্রকোপ খুবই বেড়েছে।
প্রায় ৫ হাজার ৮শ’ কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ২ হাজার ৪৫৩ জনের করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ ফল এসেছে।
মালয়েশিয়ায় টপ গ্লাভের ৪১টি কারখানা আছে। এসব কারখানার অধিকাংশ শ্রমিকই নেপাল থেকে আসা এবং জনাকীর্ণ এলাকায় বাস করে।
মালেশিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক মহাপরিচালক নূর হিসাম আব্দুল্লাহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “যারা করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আর তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, যাতে অন্যান্য কর্মীরা সংক্রমিত না হন।”
কবে নাগাদ কারখানাগুলো বন্ধ করা শুরু হবে তা স্পষ্ট জানা না গেলেও ধাপে ধাপে এগুলো বন্ধ করা হবে বলে জানা গেছে।
চলতি বছর রেকর্ড মুনাফা করে বিশ্বের নজর কেড়েছে টপ গ্লাভ। কিন্তু কোম্পানিটির বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক শোষণের অভিযোগও আছে।
কুয়ালা লামপুরে শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক গ্লোরেন দাস বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল কিছু মালয়েশীয় ফার্ম তাদের কর্মীদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিবিসি কে তিনি বলেন, “এই শ্রমিকরা জনাকীর্ণ পরিবেশে বাস করা এবং কাজ করার ফলে তাদের পক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। একারণে তারা কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে।”