বাহিনীটির মুখপাত্র গেতাচিউ রেদা মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় তিগ্রাই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ ‘বড় অগ্রগতির’ দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টিপিএলফের এ দাবি প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে ইথিওপিয়ার সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে সোমবার ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় বাহিনী তিগ্রাইয়ের রাজধানী মেকেলের চারপাশ ঘিরে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নেয়ায় দাবি করেছিল। সরকারের মুখপাত্র রেদওয়ান হুসেইন সেসময় বলেছিলেন, “শেষের শুরু এখন হাতের নাগালে।”
ইথিওপিয়ার নোবেলজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ টিপিএলএফকে বুধবারের মধ্যে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। তা না হলে মেকেলেতে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
টিপিএলএফ নেতা দেব্রেতশন গ্যাব্রিমিকায়েল অবশ্য তাদের রাজধানী ঘিরে ফেলার খবর অস্বীকার করেছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছিলেন, আত্মসমর্পণের আল্টিমেটামের আড়ালে সরকারি বাহিনী মূলত সময় নিতে ও নিজেদের পুনর্গঠন করতে চাইছে।
“তিনটি যুদ্ধক্ষেত্রেই তারা আমাদের কাছে পরাজিত হয়েছে,” বলেছিলেন তিনি।
তিগ্রাই অঞ্চলে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এবং সেখানে প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় টিপিএলএফের এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
গত ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতে এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে তিগ্রাইয়ের প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা বাড়িঘর থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে।