সোমবার বাহিনীটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র জেদ্দায় অবস্থিত সৌদি আরামকোর একটি সরবারহ স্টেশনে আঘাত হেনেছে।
হুতিদের এ দাবি প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে রিয়াদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরান সমর্থিত বাহিনীটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া ‘অপারেশন চলমান থাকায়’ সৌদিতে থাকা বিদেশি কোম্পানি ও নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
“ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা হয়েছে,” বলেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ‘উত্তর জেদ্দার বাল্ক প্ল্যান্ট- সৌদি আরামকো’ লেবেল লাগানো একটি উপগ্রহের ছবিও পোস্ট করেছেন। গুগল ম্যাাপসে সৌদি আরামকোর ছবির সঙ্গে সারিয়ার দেওয়া উপগ্রহের ছবি ও বর্ণনার মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
হুতিদের হামলার দাবি প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে সৌদি আরবের রাষ্ট্র মালিকানাধীন আরামকোর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এ তেল কোম্পানির উৎপাদন ও রপ্তানি সংক্রান্ত স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগই সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে অবস্থিত,যেটি জেদ্দা থেকে এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত।
“হামলাটি ছিল একেবারেই নিখুঁত। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ইঞ্জিনগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হয়,” বলেন সারিয়া। হামলায় একটি কুদস-২ ধরনের উইংড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।