কোভিড-১৯: ইরানজুড়ে বিধিনিষেধ, আংশিক লকডাউন, কারফিউ

প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন ইরানের কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় আংশিক লকডাউন ও কারফিউসহ নতুন নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2020, 06:46 PM
Updated : 21 Nov 2020, 06:46 PM

হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে দেশটির কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকাকে রংয়ের ভিত্তিতে আলাদা করেছেন। যেসব শহর ও এলাকা তুলনামূলক নিরাপদ সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘সাদা’ রংয়ে; আর যেসব শহরে সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি সেগুলোকে দেওয়া হয়েছে ‘লাল’ রং।

শনিবার থেকে চালু হওয়া বিধিনিষেধের ফলে ‘লাল’ চিহ্নিত এলাকাগুলোকে অন্তত দুই সপ্তাহ আংশিক লকডাউনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। এ সময় অপরিহার্য নয় এমন সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে; সরকারি কার্যালয়গুলোতে্ও সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন। 

ইরানের ৩২টি প্রদেশের রাজধানীর মথ্যে ২৫টিই এ ‘লাল’ চিহ্নিত এলাকার মধ্যে পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এসব শহরের সেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেগুলো অপরিহার্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত। কেবল ‘লাল’ বা ‘সাদা’ নয়, সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন শহরকে আরও নানান রংয়ের ভিত্তিতে করা তালিকায় ফেলা হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাত ৯টা থেকে পরদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ দেওয়া হয়েছে; এ সময় এক শহর থেকে আরেক শহরে ভ্রমণ করা যাবে না। যেসব এলাকায় ঝুঁকির মাত্রা অত্যধিক, সেসব এলাকার পুলিশকে বিধিনিষেধের নিয়ম ভাঙ্গলে ৪০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

যে এলাকাগুলো ‘লাল’ কিংবা ‘কমলা’ রংয়ের আওতায় পড়েছে সেখানে অন্য কোনো এলাকার গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এসব এলাকার বাসিন্দারাও অন্য কোনো এলাকায় যেতে পারবেন না। 

ইরানের কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে মাস্ক পরিধানও বাধ্যতামূলক করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইরানকে এখন সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশটিতে সম্প্রতি কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

শনিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৪৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। মহামারী শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস কেবল সরকারি হিসাবেই দেশটির ৪৪ হাজার ৩২৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৮ লাখ ৪১ হাজার।