প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের জয়ের ব্যবধান কম হওয়ায় রাজ্যের নির্বাচন কমিশন ভোট পুনঃগণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়ায় ৫০ লাখের বেশি ভোট পড়েছে। প্রাথমিক ভোট গণনায় ট্রাম্পের থেকে বাইডেন প্রায় ১৪ হাজার ভোট বেশি পান।
জর্জিয়ায় মোট ইলেকটোরাল ভোট ১৬টি। তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে এই রাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী লড়াইয়ে ‘সুইং স্টেট’ গুলোর একটি ছিল জর্জিয়া।
এছাড়া, সর্বশেষ ১৯৯২ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা এ রাজ্যে জিতেছিল। তারপর থেকে টানা কয়েকবার রিপাবলিকানরাই এখানে জয় দেখেছে।
এবার ইলেকটোরাল ভোটে বাইডেনের থেকে পিছিয়ে পড়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে নানা রাজ্যে ভোট পুনঃগণার আবেদন জানিয়ে মামলা করেন।
জর্জিয়ার ‘সেক্রেটারি অব স্টেট’ ব্রাড রাফেন্সপারগার গত ১১ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট পুনঃগণনার ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘গণনার পর যে ফল পাওয়া যাবে আমরা সেটাই সার্টিফাই করব, সেটিই চূড়ান্ত গণনা হবে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাফেন্সপারগারের কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলা হয়, বাইডেন ১২ হাজার ২৮৪ ভোটে ট্রাম্পকে পরাজিত করেছেন।“প্রথমবারের ভোট গণনা যে নির্ভুল ছিল, নিরীক্ষায় তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।”
তবে প্রথমবারের তুলনায় পুনঃগণনায় বাইডেনের পক্ষে ভোট কিছুটা কমেছে। এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, মানুষ মাত্রই কিছুটা ভুল হতে পারে। দুই ফলে সামান্য যে ব্যবধান হয়েছে তা প্রত্যাশিত মাত্রার মধ্যেই রয়েছে। হাতে ভোট গুনতে গেলে এটুকু হেরফের হবেই।
ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জর্জিয়ার দুই রিপাবলিকান সিনেটরও কোনও প্রমাণ ছাড়াই রাফেন্সপারগারের বিরুদ্ধে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে এই নির্বাচনী কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ট্রাম্প শিবির ভোটে কারচুপির প্রমাণ দিতে পারেনি। অভিযোগের সপক্ষে তারা আমাদের হতে কোনও প্রমাণই তুলে দিতে পারেনি।”
তবে ট্রাম্প শিবিরের হাতে এখনও ভোট পুনঃগণনার আবেদন করার সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। কারণ, এখনও দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ০ দশমিক ৫ শতাংশের কম।