বুধবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে এ ‘সার্কিট ব্রেকার’ লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই ভাইরাসের বিস্তৃতি ঠেকাতে এ ধরনের ‘বর্তনী ছেদক’ বা ‘সার্কিট ব্রেকার’ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ছয় মাস পর রোববার অ্যাডিলেইডে স্থানীয় পর্যায়ে প্রথম এক রোগী শনাক্ত হয়। এরপর সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৬ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ছোট প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এর আগেও অস্ট্রেলিয়াকে আগ্রাসী সব পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল। দেশটির বিভিন্ন রাজ্য অর্থনীতির নানান খাত বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর সব পদক্ষেপ নিয়েছিল।
পাশের রাজ্য ভিক্টোরিয়া সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে পরাভূত করার কয়েক সপ্তাহ পর সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে এ লকডাউন পর্বে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
দক্ষিণের এ রাজ্যটিতে ছয়দিনের ‘আপাত বিরতি’ শেষে পরের ৮ দিন তুলনামূলক কম বিধিনিষেধ থাকবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
‘সার্কিট ব্রেকার’ লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ার পর টয়লেট পেপার এবং নানান নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিভিন্ন সুপারমার্কেটের সামনে লোকেদের লম্বা সারির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদেরকে আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটা না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। লকডাউনের মধ্যে সুপারমার্কেট ও ফার্মেসি খোলা থাকবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তারা।
হুট করে দেওয়া দ্বিতীয় এ লকডাউন মেনে চলতে রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার স্টিফেন মার্শাল।
“এর (সংক্রমণ) চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য আমাদের সার্কিট ব্রেকার দরকার। বয়স্ক ও দুর্বলদের পাশাপাশি আমাদের সমগ্র এলাকার সুরক্ষায় শনাক্ত রোগীদের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন তা চিহ্নিত করতে আমাদের শ্বাস নেওয়ার জায়গা দরকার,” বলেছেন তিনি।
রাজ্যের সাড়ে ৯ হাজার জনকে পরীক্ষা করে দুইজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তের কথা বুধবার জানিয়েছে সাউথ অস্ট্রেলিয়া। এই সংখ্যাকে ‘ছোট কিন্তু মারাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারা যেন ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করতে পাশের রাজ্যগুলির বেশিরভাগই তাদের সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে।