বিক্ষোভকারীরা কাঁটাতারের বেড়া এবং কংক্রীটের বেষ্টনি সরিয়ে পার্লামেন্ট চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের দিকে জলকামান এবং টিয়ারগ্যাস ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়।
তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো কিংবা রাবার বুলেট ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে। আগ্নেয়াস্ত্র কে বা কারা ব্যবহার করেছে তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
থাইলান্ডে গত জুলাইয়ে তরুণদের নেতৃত্বে নতুন গণতন্ত্রপন্থি প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবারের এই বিক্ষোভই সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের পাশাপাশি রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণরও ক্ষমতা খর্ব করার দাবি জানিয়ে আসছে। সংবিধান সংশোধনও চায় তারা।
সংবিধান পরিবর্তনের জন্য আইনপ্রণেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়।
সংঘর্ষে টিয়ারগ্যাসের শেলে অন্তত ১২ জন এবং গুলিতে ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংককের এরাওয়ান মেডিকেল সেন্টার।
ব্যাংককের উপপ্রধান পুলিশ কর্মকর্তা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করেছি।” পুলিশ বিক্ষোভকারীদেরকে পার্লামেন্টের কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং রাজপরিবারের সমর্থকদের পাল্টা বিক্ষোভ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে বলে জানান তিনি।
থাই পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতারা সংবিধান পরিবর্তনের কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ প্রস্তাবেই রাজতন্ত্রের ভূমিকা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখা হয়নি। তাছাড়া, উচ্চকক্ষ সিনেটের ভূমিকা নিয়েও চলছে আলোচনা।
বিক্ষোভকারীরা এ পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে আরেকটি বিক্ষোভে নামার পরিকল্পনা করেছে।