তিগ্রাইয়ে চূড়ান্ত সামরিক অভিযানের হুঁশিয়ারি ইথিওপিয়ার

উত্তরাঞ্চলীয় তিগ্রাই রাজ্যে শিগগিরই চূড়ান্ত পর্যায়ের সামরিক অভিযান শুরুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2020, 04:51 PM
Updated : 17 Nov 2020, 05:08 PM

মঙ্গলবার তিনি বলেন, “তিগ্রাই বিশেষ বাহিনী এবং মিলিশিয়াদেরকে আত্মসমর্পণের জন্য বেঁধে দেওয়া তিনদিনের সময়সীমা আজ শেষ হয়েছে।”

এর ফলে তিগ্রাইয়ের রাজধানী অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার পথ সুগম হয়েছে এবং “আগামী দিনগুলোতে সেখানে আইন প্রয়োগের চূড়ান্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হবে” বলে জানান আবি।

প্রধানমন্ত্রী আবি তিগ্রাইয়ের আঞ্চলিক ক্ষমতাসীন দল তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লব, দেশদ্রোহ এবং সামরিক ঘাঁটি দখলের অভিযোগ তুলে গত ৪ নভেম্বরে সেখানে বিমান এবং স্থল হামলা শুরু করেছেন।

অন্যদিকে, টিপিএলএফ আবির কেন্দ্রীয় সরকারকে অবৈধ হিসাবেই দেখে। তিগ্রাইয়ের নেতারা মনে করেন, বৃহত্তর অরোমো জাতিগোষ্ঠী থেকে আসা আবি আহমেদ ২০১৮ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পরই সরকার থেকে তাদের দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং নিপীড়িন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক সরকারের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যেই প্রায় দুই সপ্তাহ আগে দুপক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। লড়াই থেকে বাঁচতে অন্তত ২৭ হাজার মানুষ পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আবির বাহিনী এ পরিস্থিতির মধ্যেই তিগ্রাইয়ের রাজধানী মেকেল্লের বাইরে টিপিএলএফ এর কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর চূড়ান্ত অভিযানে যাওয়ার ওই হুঁশিয়ারি এল বলে জানানো হয়েছে এক সরকারি বিবৃতিতে।

তিগ্রাইয়ের নেতারা আবির এই হুঁশিয়ারিতে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি বাহিনী একটি বাঁধসহ চিনি উৎপাদন কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং নির্দয়ভাবে মানুষকে আক্রমণ করছে বলে নেতারা অভিযোগ করেছেন।

দক্ষিণাঞ্চলীয় তিগ্রাই শহর আলামাতা ঘিরে লড়াই এখনও চলছে। এই শহরের নিয়ন্ত্রণ ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিল দেশটির সরকারের ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স।

আর এখন তিগ্রাইয়ের রাজধানী মেকেল্লে অভিমুখে সামরিক বাহিনীর আরও অগ্রসর হওয়ার পট প্রস্তুত হওয়ায় ‘অচিরেই তুমুল লড়াই শুরু হতে চলেছে’, বলেছেন নাইরোবি-ভিত্তিক আঞ্চলিক একটি থিংক ট্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাট ব্রাইডেন।

ওদিকে, জাতিসংঘ অশান্ত হয়ে ওঠা ওই অঞ্চলে পুরোদস্তুর মানবিক সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।