টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় পাওয়া প্রাথমিক ফলের ভিত্তিতে সোমবার মডার্না এই দাবি করে।
৩০ হাজার মানুষের ওপর চালানো এই পরীক্ষায় অর্ধেককে চার সপ্তাহের ব্যবধানে টিকার দুটি ডোজ দেয়া হয়। এছাড়া, বাকিদের নামমাত্র ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল, যেগুলোতে টিকার কোনো ডোজ ছিল না।
মডার্না বলছে, যাদেরকে টিকা দেওয়া হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আর কেবল তাই নয়, মারাত্মক কোভিড-১৯ থেকেও এই টিকা সুরক্ষা দিয়েছে। যে প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে ।
এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের আশা করছে মডার্না। তাছাড়া, কোম্পানিটি এরই মধ্যে কয়েক লাখ ডোজ টিকা তৈরিও করে ফেলেছে। এফডিএ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই তারা টিকা সরবরাহ শুরু করতে প্রস্তুত।
এর আগে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর টিকা তৈরির দাবি করেছিল মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক।
তারাও টিকার ‘তৃতীয় ধাপের’ পরীক্ষার প্রাথমিক ফলে এই কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিল। তাদের টিকার পরীক্ষা চালানো হয় ছয়টি দেশের সাড়ে ৪৩ হাজার মানুষের উপর ।
এবার মডার্না আরও কার্যকর টিকার দাবি নিয়ে সামনে আসায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার আগামী বছরেই দুই কোম্পানির কাছ থেকে ১শ’ কোটি ডোজেরও বেশি টিকা পেতে চলেছে।
মডার্নার প্রেসিডেন্ট স্টিফেন হগ ফোনে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা এমন একটি টিকা পেতে চলেছি যা কোভিড-১৯ রুখে দিতে পারবে।”
তাছাড়া, মডার্নার টিকার আরও একটি সুবিধা হচ্ছে এটি সংরক্ষণে আল্ট্রা-কোল্ড স্টোরেজ এর প্রয়োজন পড়বে না। যেমনটি দরকার হয় ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে।
ফাইজারের টিকার সংরক্ষণ কাজ কঠিন। কারণ, এটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রায় এটি রাখা যাবে মাত্র ৫ দিন।
কিন্তু মডার্নার টিকা রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রাতেই (২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ৩০ দিনের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে। আর ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এই টিকা সংরক্ষণ করাযাবে ৬ মাস পর্যন্ত। ফলে মডার্নার টিকা বিতরণ করাও সহজ হবে।