তিগ্রাইয়ের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিল ইথিওপীয় বাহিনী

উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য তিগ্রাইয়ের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানিয়েছে দেশটির সরকারের ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2020, 11:07 AM
Updated : 16 Nov 2020, 11:07 AM

তিগ্রাইয়ের স্থানীয় বিদ্রোহী বাহিনী পতন হওয়া আলামাতা শহর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে ১০ হাজার কারাবন্দিকে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে টাস্কফোর্স।

টাস্কফোর্স রোববার রাতে টুইটারে বলেছে, “আলামাতায় টিপিএলএফ (তিগ্রাইয়ের ক্ষমতাসীন দল) মিলিশিয়ারা পরাজিত হওয়ার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় ১০ হাজার কারাবন্দিকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়।”   

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তিগ্রাইয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত থাকায় ও সেখানকার অধিকাংশ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় এসব বিবৃতি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

আলামাতার ঘটনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে তিগ্রাইয়ের নেতাদের কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।

আমহারা রাজ্যের নিকটবর্তী শহর আলামাতা তিগ্রাইয়ের রাজধানী শহর মেকেলে থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে।    

শনিবার তিগ্রাইয়ের বাহিনীগুলো ইরিত্রিয়ার রাজধানী আসমারায় রকেট হামলা চালায়। এতে তিগ্রাইতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ১৩ দিন ধরে চলা লড়াই আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকী ‘আফ্রিকার শিং’ হিসেবে পরিচিত পূর্ব আফ্রিকার পুরো অঞ্চলটিও এতে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার হুমকির মুখে পড়েছে।

ইরিত্রিয়ায় তিগ্রাইয়ের বাহিনীর হামলার নিন্দা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অঞ্চলের শীর্ষ কূটনীতিক টিবোর নাগি। এই হামলার মাধ্যমে তিগ্রাইয়ের ‘লড়াইকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

তিগ্রাইয়ের স্থানীয় বাহিনীগুলো সুদান ও ইরিত্রিয়ার সীমান্তে মোতায়েন সরকারি সেনাদের আক্রমণ করেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এমন অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনার জন্য রাজ্যটিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী পাঠান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। তারপর থেকে তিগ্রাইতে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হওয়া লড়াইয়ে কয়েকশত লোক নিহত হয়েছে।

রোবাবর জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে অন্তত ২০ হাজার ইথিওপীয় পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

আরও পড়ুন: