ইথিওপিয়ার তিগ্রাই রাজ্যের কাছে ২ বিমানবন্দরে রকেট হামলা

ইথিওপিয়ার আমহারা রাজ্যের দুটি বিমানবন্দরে রকেট হামলা হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2020, 12:54 PM
Updated : 16 Nov 2020, 11:08 AM

এই বিমানবন্দর দুটির অবস্থান তিগ্রাই রাজ্যের কাছাকাছি। আমহারার প্রতিবেশী তিগ্রাইতে প্রায় ১১ দিন ধরে স্থানীয় বাহিনীগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লড়াই চলছে। এরমধ্যেই শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর দুটিতে রকেট হামলা চালানো হয় বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে।

গনদারের কেন্দ্রীয় অংশের মুখপাত্র আওয়কি ওয়ারকু জানিয়েছেন, একটি রকেট আমহারার গনদার বিমানবন্দরে আঘাত হানে এবং এতে বিমানবন্দরটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রায় একই সময় আরেকটি রকেট আমহারার বাহির দার বিমানবন্দরের সামনে আঘাত হানে। 

এসব হামলার জন্য তিগ্রাইয়ের ক্ষমতাসীন দল তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে (টিপিএলএফ) দায়ী করেছে ইথিওপিয়া সরকার, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সরকারের ইমার্জেন্সি টাস্ক ফোর্স টুইটারে লিখেছে, “টিপিএলএফ জান্তা তাদের অস্ত্রাগারের সর্বশেষ অস্ত্র ব্যবহার করছে।”

এই দুটি বিমানবন্দরকে ‘বৈধ লক্ষ্যস্থল’ হিসেবে দাবি করেছেন টিপিএলএফের চেয়ারম্যান ও তিগ্রাই রাজ্যের প্রেসিডেন্ট দেব্রেতশন জেব্রেমিশায়েল। 

শনিবার এক লিখিত বার্তায় তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, “তিগ্রাইতে হামলার জন্য ব্যবহার করা যে কোনো বিমানবন্দরই বৈধ লক্ষ্যস্থল, আমহারার শহরগুলো নয়।”

রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় বাহিনীগুলো কেন্দ্রীয় সেনাদের আক্রমণ করেছে, এমন অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনার জন্য প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তিগ্রাইতে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী পাঠান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। তারপর থেকে তিগ্রাইতে শুরু হওয়া লড়াইয়ে কয়েকশত লোক নিহত হয়েছে।

ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মী জানিয়েছেন, হামলার পর গনদার ও বিহার দার বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বাতিল করা হয়েছে।

গনদার শহরের বাসিন্দা ইয়োহানেস আয়েলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আজেজো এলাকায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তিনি।

এলাকাটির আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রকেটের আঘাতে বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ওই এলাকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ঘেরাওয়ের বাইরে দমকলের গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি আমহারা রাজ্যের আঞ্চলিক বাহিনীগুলোও তিগ্রাইয়ের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

এ লড়াই আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ইথিওপিয়ার অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে ‘আফ্রিকার শিং’ হিসেবে পরিচিত পূর্ব আফ্রিকার এ অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন।

শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলের ১৪ হাজার ৫০০ বাসিন্দা পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে।