বিদেশি নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা নিতে বাইডেনকে বাধা

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিদেশি নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা গ্রহণে বাধা দিচ্ছে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2020, 02:05 PM
Updated : 12 Nov 2020, 02:05 PM

বাইডেনকে সরকারিভাবে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে আছে বলে সিএনএন-কে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাইডেন নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বহু দেশ থেকে বার্তা এসেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে। প্রথামাফিক এইসব বার্তা নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা।

কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও নির্বাচনের ফল মেনে না নেওয়ায় তার প্রশাসন শুভেচ্ছা বার্তাগুলো বাইডেনের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে না।

ফলে বাইডেনের লোকেরা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কোনওরকম সহায়তা ছাড়াই ব্যক্তিগতভাবে বিদেশি নেতা এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছে।

এরই মধ্যে এমন ব্যক্তিগতভাবে ফোন কলে বাইডেন যোগাযোগ করেছেন কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ডের সঙ্গেও।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাইডেন টীম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিসোর্স ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু সেখান থেকে বাধা আসায় তারা এখন এই অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করছে।

তাছাড়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে বাইডেনের দলবল যে কোনও সহযোগিতা পাচ্ছে না কেবল তাই নয়, গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলেন,“দ্বিতীয়বারের মতো নির্বিঘ্নে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।”

কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক সিএনএন কে বলেছেন, তাদের নেতারা নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে যোগাযোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বাধা দিচ্ছে বুঝতে পেরে পরে বাইডেন টীমকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলের কূটনীতিকদের সাহায্য নিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, যখন সময় হবে তখন বাইডেন টীমকে সহযোগিতা করতে মন্ত্রণালয় প্রস্তুত আছে। পার্টনারশিপ ফর পাবলিক সার্ভিসের সেন্টার ফর প্রেসিডেনশিয়াল ট্রানজিশনের পরিচালক ডেভিড ম্যারচিক বলেন, “নির্বাচনের আগে থেকেই এজেন্সিগুলো আইন মোতাবেক কাজ করছে। দপ্তর প্রস্তুত রাখা হয়েছে,সবকিছু প্রস্তুত আছে। এখন শুধু সবুজ সংকেতের অপেক্ষা।”

নিয়মানুযায়ী, সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টরা যখন খুশি মন্ত্রণালয়ের রিসোর্স ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু, বাইডেন এখন নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে ট্রাম্প প্রশাসন তাকে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিতে দিচ্ছে না।

আর কেবল তাই নয়, নিয়মানুয়ায়ী নতুন প্রেসিডেন্টকে বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতিদিন নানা বিষয়ে ব্রিফিং করার কথা, যাতে তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা নেওয়ার আগে রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলো জেনে নিতে পারেন। সেই ব্রিফিংও বাইডেনকে দেওয়া হচ্ছে না।