যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: জর্জিয়া ঘিরে একটি সরল অংক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য জর্জিয়ায় শেষ ১ শতাংশ ভোট গণনার মধ্যে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে টপকে যাওয়ায় জো বাইডেন পৌঁছে গেছেন চূড়ান্ত বিজয়ের আরো কাছে।   

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2020, 01:47 PM
Updated : 6 Nov 2020, 01:57 PM

সব রাজ্য মিলিয়ে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ২৫৩টি এরইমধ্যে জিতে নিয়েছেন বাইডেন। চূড়ান্ত জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট থেকে ১৭ ভোট দূরত্বে আছেন তিনি।

এখন ১৬ ইলেকটোরাল ভোটের রাজ্য জর্জিয়ায় বাইডেন জিতে গেলে দুটি বিষয় দাঁড়াবে।

১. তখন বাইডেনের পকেটে ইলেকটোরাল ভোট হবে ২৬৯টি। অর্থাৎ, বাইডেন তখন পৌঁছে যাবেন হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র এক ভোট দূরত্বে।

২. বাইডেনের ২৬৯ ভোট জিতে নেওয়ার মানে দাঁড়াবে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মোট ইলেকটোরাল ভোটের অর্ধেক জিতে নিয়েছেন। অর্থাৎ, তখন আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের ২৭০ ভোট পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। তাতে তার সরাসরি ভোটে জিতে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।  

জর্জিয়ার পাশাপাশি চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে এখনও ভোট গণনা চলছে। এর মধ্যে পেনসিলভেইনিয়ায় ২০টি, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫টি, অ্যারিজোনায় ১১টি এবং নেভাডায় ৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, অ্যারিজোনায় ও নেভাডায় বাইডেন এবং পেনসিলভেইনিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্প এগিয়ে আছেন।  

বাইডেন যদি জর্জিয়ায় জয়ী হন, তাহলে বাকি চার রাজ্যের যে কোনো একটিতে জয়ী হতে পারলেই তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।  

আর এই সরল অংকটি যদি এত সহজে না মেলে, অর্থাৎ ওই চার রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল কলেজ ভোট যদি ট্রাম্পের পকেটে যায়, তাহলে দুই প্রার্থীরই ভোট হবে সমান, ফলাফল হবে রোমাঞ্চকর ‘টাই’।

রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত জিতেছেন ২১৪ ইলেকটোরাল ভোট; চূড়ান্ত জয় পেতে হলে তার আরও ৫৬ ভোট চাই।

হোয়াইট হাউজের দখল ধরে রাখতে হলে ট্রাম্পকে জর্জিয়ায় হারলে চলবে না। সেই সঙ্গে পেনসিলভেইনিয়া এবং আরও অন্তত দুটি রাজ্যে জিততে হবে।  

আর যদি ইতিহাসের প্রথমবারের মত ‘টাই’ হয়েই যায়, তখন সিদ্ধান্ত দেওয়ার ভার পড়বে সংগ্রেসের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত হবে, কে হবেন প্রেসিডেন্ট। প্রত্যেক রাজ্যের একজন করে প্রতিনিধি ভোট দিতে পারবেন। অন্তত ২৬টি ভোট যিনি পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন। আর সিনেটের ভোটাভুটিতে নির্ধারিত হবে, কে হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।