বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ফ্রান্সের বিচার বিভাগের সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে অন্তত দুই জন হেফাজতে রয়েছেন, এদের মধ্যে একজন নিসের বাসিন্দা। হামলাকারীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং সে বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার তৃতীয় জনকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে শনিবার পুলিশের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
নিসের ওই হামলার পর সম্ভাব্য আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ফ্রান্স সরকার দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
নিসের সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে সঙ্কটজন অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, হামলাকারী ছুরি নিয়ে একটি গির্জার ভিতরে গিয়ে আক্রমণ করে এক নারীর শিরশ্ছেদ করে ফেলে ও আরও দুই জনকে হত্যা করে।
এ ঘটনার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রার্থনাগৃহ ও স্কুলের মতো স্থানগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছেন। দেশটিতে আরও হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী।
এসব ঘটনা নিয়ে আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ম্যাক্রোঁর একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে আর শনিবার সেটি সম্প্রচার করার কথা রয়েছে বলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানিয়েছে।
ফ্রান্সের শীর্ষ সন্ত্রাসবাদবিরোধী কৌঁসুলি জানিয়েছেন, নিস শহরের হামলার ঘটনার সন্দেহভাজন ১৯৯৯ সালে তিউনিসিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং দেশটির উপকূলবর্তী ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসা হয়ে তিনি চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ইউরোপে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: