দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্সে একইধরনের প্রাণঘাতী দুটো ছুরি হামলার পর শুক্রবার আরটিএল বেতারে ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলামি আদর্শের বিরুদ্ধে যুদ্ধে থাকায় ফ্রান্সের মাটিতে আরও জঙ্গি হামলা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে ছুরি নিয়ে এক ব্যক্তি নিস শহরের নতর-দাম বাসিলিকা গির্জায় হামলা চালায়। এতে তিন জন নিহত হয়।
এ ঘটনার পর নিস শহরের মানুষ নতর-দাম বাসিলিকার বাইরে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ স্থাপন করে ফুল দিয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক পালন করছে।
হামলায় নিহতদের মধ্যে দুইজনই নারী। এর মধ্যে ৬০ বছর বয়সী এক নারীর মাথা শরীর থেকে কার্যত আলাদা হয়ে পড়েছিল বলে ভাষ্য ফরাসি কর্মকর্তাদের।
নিহত ৫৫ বছর বয়সী অপর ব্যক্তিরও গলা কাটা ছিল। হামলাকারীর কয়েকদফা ছুরিকাঘাতে আহত ৪৪ বছর বয়সী আরেক নারী পালিয়ে কাছের একটি ক্যাফেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন; পরে তারও মৃত্যু হয়।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, “যদি আমরা আবারও হামলার শিকার হই, তবে তা আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধ, মুক্ত বিশ্বাস এবং সন্ত্রাসের কাছে মাথানত না করার জন্যই হবে।”
সম্প্রতি ফ্রান্সে স্যামুয়েল প্যাটি নামের এক ইতিহাস শিক্ষক ক্লাসে বাকস্বাধীনতা বিষয়ে পাঠদানের সময় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখান। যার জেরে গত ১৬ অক্টোবর চেচেন বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি ছুরি হাতে ওই শিক্ষককে আক্রমণ করে এবং তার শিরশ্ছেদ করে।
এই ঘটনায় ফ্রান্সজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ‘মৌলবাদী ইসলাম’র বিপরীতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন।
‘ফ্রান্স ব্যঙ্গচিত্র দেখানো বন্ধ করবে না’ বলেও জানান তিনি। ম্যাক্রোঁর এই কঠোর অবস্থানের মধ্যেই দেশটিতে আবার ছুরি হামলায় শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন -