প্রাথমিক ফলে মোট ভোটের ৬৫ দশমিক ২ শতাংশই ‘এন্ড অব লাইফ চয়েজ অ্যাক্টের’ পক্ষে ভোট পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
আইনটি কার্যকর হলে গুরুতর অসুস্থ এবং ৬ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মারা যেতে পারেন এমন ব্যক্তিরা চাইলে দুই চিকিৎসকের অনুমতি সাপেক্ষে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিতে পারবেন।
যদিও আইনটিতে সব পক্ষকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
শুক্রবার ঘোষিত প্রাথমিক ফলে প্রবাসীসহ আনুমানিক ৪ লাখ ৮০ হাজার ভোটারের রায় যুক্ত হয়নি; এগুলো যুক্ত হলে ভোটের শতকরা হিসেবে সামান্য এদিক ওদিক হলেও তা বৈধতার পক্ষে থাকা গণরায় পাল্টাতে পারবে না।
নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন এবং বিরোধীদলীয় নেতা জুডিথ কলিন্স দুজনই স্বেচ্ছামৃত্যুকে বৈধতা দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
আগামী বছরের নভেম্বর থেকে এই ‘এন্ড অব লাইফ চয়েজ’ আইনটি কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেরকম হলে নিউ জিল্যান্ড স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ এমন স্বল্প সংখ্যক দেশের তালিকায় যুক্ত হবে।
চলতি মাসে সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গেই স্বেচ্ছামৃত্যুর বৈধতা নির্ধারক এই গণভোটটি হয়েছিল; একই সঙ্গে হওয়া আরেকটি গণভোটে বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ হবে কিনা, সে প্রসঙ্গে জনগণের মতামত চাওয়া হয়।
প্রাথমিক ফলে গাঁজা বৈধকরণের ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ৫৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়তে দেখা গেছে। পক্ষে পড়েছে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। তবে বিশেষ ভোট গণনার পর এই ফলাফল বদলেও যেতে পারে।