বৃহস্পতিবার নিস শহরে ছুরি হামলা চালিয়ে এক নারীর শিরশ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলায় আরও দুইজন নিহত হয়। এই দুইজনের একজনও নারী। হামলাকারী সন্দেহে পুলিশ একজনকে গুলি করার পর তাকে আটক করেছে।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এই হামলাকে উন্মত্ত ‘ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, ফ্রান্স নিজেদের মূল্যবোধ বিসর্জন দেবে না।
বিবিসি জানায়, হামলাস্থল পরিদর্শনের পর ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “আমরা যদি আরও একবার হামলার শিকার হই, তাহলে তা আমাদের মূল্যবোধ: স্বাধীনতা, স্বাধীন বিশ্বাস এবং সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত না করার জন্যই হব।”
“আজ আমি আবার পরিষ্কার করে বলছি, আমরা কোনওকিছুই আত্মসমর্পণ করব না।” এ ধরনের হামলার মুখে ফ্রান্সকে একতাবদ্ধ হতে হবে; কোনওরকম বিভক্তির কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হামলার ঘটনা তদন্ত এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সতর্কতার মাত্রাও সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে। দেশজুড়ে জনসমাগম এলাকাগুলোর সুরক্ষায় মোতায়েন করা সেনাসংখ্যা ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী ২১ বছর বয়সের এক তিউনিসীয়।তার নাম ব্রাহিম আইউসাওয়ি। এই তরুণ সেপ্টেম্বরে নৌকায় করে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছায়। সেখানে তাকে করোনাভাইরাস মোকাবেলা বিধি অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ইতালি থেকে চলে যেতে বলা হয়। তারপরই এ মাসে সে ফ্রান্সে পৌঁছায়।
ফ্রান্সের নিস শহরের মেয়র খ্রিশ্চ এস্থুজি নিস শহরের গির্জায় হামলার ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। টুইটারে তিনি জানান, শহরের নতর-দাম গির্জার ভিতরে অথবা কাছে ছুরি হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিন নিসে এই হামলার ঘটনার পাশাপাশি ফ্রান্সের আরেক শহর আভিনিওঁ এর কাছে এবং সৌদি আরবের ফরাসি কনস্যুলেটেও পৃথক দুটি হামলা হয়েছে।