ট্রাম্প মেইল-ইন বা ডাকযোগে পাঠানো ব্যালট ৩ নভেম্বরের নির্বাচনী দিনের পরও গ্রহণ করার বিরোধিতা করছেন।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য-নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পরও ব্যালট গ্রহণের পক্ষে রায় দিয়েছে।
ব্যালট গ্রহণের সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল ট্রাম্প শিবির। সুপ্রিম কোর্ট বুধবার তা খারিজ করে নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যের নির্বাচনী বোর্ডের পক্ষে রায় দিয়েছে।
নর্থ ক্যারোলাইনা নির্বাচন কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল সার্ভিসে মেইল ডেলিভারিতে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকার যুক্তি দেখিয়ে ভোট অনুষ্ঠানের নয়দিন পর পৌছাঁনো ব্যালটও গণনা করার অনুমতি চেয়েছিল।
অন্যদিকে, পেনসিলভানিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট গত সেপ্টেম্বরেই ডাকযোগে ভোট গ্রহণে অতিরিক্ত তিনদিন সময় অনুমোদনের পক্ষে রায় দিয়েছিল। পেনসিলভানিয়ার রিপাবলিকানরা পরে এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায়। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনও খারিজ করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নির্বাচনের আগে দিয়ে দুটি অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাটিকদের জন্য বড় জয় হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টে নতুন রক্ষণশীল বিচারপতি এমি কনি ব্যারেটের নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার দু’দিনের মাথায় এই রায় এল। যদিও ব্যারেট এই দুটি মামলার কোনওটিতেই অংশ নেননি বলে জানানো হয়েছে খবরে।
তবে ট্রাম্প শিবির দুই রাজ্যে ‘ধাক্কা’ খেলেও আরেক রাজ্য টেক্সাসে আদালতের রায়ে জয় পেয়েছে। সেখানে ব্যালট ফেলার জন্য বেশি জায়গায় পোস্টবক্স রাখার বিরোধী ট্রাম্প শিবির। এতে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা আছে বলেই মনে করে তারা।
মঙ্গলবার রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত এক রায়ে বলেছে, টেক্সাসের গভর্নর ব্যালট ফেলার এই পোস্টবক্সগুলো কয়েকটি জায়গায় সীমিত রাখতে পারবেন।যদিও প্রতি কাউন্টিতে একটিমাত্র স্থান নির্ধারিত থাকলে সেখানে যেতে ভোটারদের অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার অসুবিধায় পড়তে হতে পারে বলে অভিযোগ আছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডাকযোগে ভোট পদ্ধতি প্রাধান্য পাচ্ছে। কিন্তু এই ভোট কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে আছে বিস্তর বিতর্ক। আর এই বিতর্ক থেকেই একের পর এক মামলায় আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট শিবির।