‘বেশি গাঁজা খেয়েছেন’: সমালোচকদের তোপ দাগলেন মার্কিন দূত

জ্যামাইকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা সমালোচকদের তীব্র ভাষায় অপমান করেছেন ক্যারিবীয় দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডনাল্ড তাপিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2020, 12:27 PM
Updated : 29 Oct 2020, 01:47 PM

মঙ্গলবার তার টুইটার পোস্টে ব্যবহারকারীদের করা মন্তব্যের পাল্টায় তাপিয়া একজনকে ‘আপনি অত্যধিক গাঁজা খেয়েছেন’ এবং অন্য একজনকে ‘আপনি সস্তা পানীয়ই পান করবেন’ বলে তাচ্ছিল্য করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যামাইকার সরকারকে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও জেডটিই-র ৫ম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সংযোজনের ব্যাপারে সতর্ক করেন তাপিয়া। 

পরে ওই সাক্ষাৎকারের লিংক টুইটারে পোস্ট করার পর তার সঙ্গে জ্যামাইকান টুইটার ব্যবহারকারীদের তর্ক বাধে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় টুইটার ব্যবহারকারীরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, সাক্ষাৎকারে তার করা মন্তব্যগুলো জ্যামাইকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

এক ব্যবহারকারী তাকে নিউ ইয়র্ক টাইমসে সম্প্রতি প্রকাশিত চীনে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট থাকার প্রতিবেদনের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। এর প্রত্যুত্তরে তাপিয়া বলেন, “আপনি অত্যধিক গাঁজা খেয়েছেন।”

অন্য এক টুইটার ব্যবহারকারী রাষ্ট্রদূতের পোস্টে ‘আমি মার্কিনিদের বানানো ভদকা খাই না’ লিখলে ক্ষিপ্ত তাপিয়া জবাবে বলেন, “ওগুলো কেনার মতো সামর্থ্য নেই আপনার। আপনি সস্তাগুলোই খান।”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আক্রমণাত্মক বা হয়রানিমূলক ভাষা’ এবং ‘অবমাননাকর ও আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আছে।

টুইটারে দেওয়া পোস্টে মন্তব্যকারীদের সঙ্গে তাপিয়ার বাহাস নিয়ে কিংস্টনের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কিংবা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেসও এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

হুয়াওয়ের প্রযুক্তি চীনের গোয়েন্দাগিরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে জানিয়ে যেসব দেশ এ প্রযুক্তি নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করতে ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের হয়ে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

রয়টার্সের যাচাইয়ের পর রাষ্ট্রদূত তাপিয়া ওই টুইটগুলো ডিলিট করে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অ্যারিজোনার ধনী ব্যবসায়ী, সমাজসেবী, রিপাবলিকান দাতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক তাপিয়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যারিবীয় দেশটিতে রাষ্ট্রদূতের পদে আছেন। টুইটারে তার অ্যাকাউন্টটিও ভেরিফায়েড।