ইংল্যান্ডে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসছে দৈনিক ‘এক লাখ লোক’

ইংল্যান্ডে প্রতিদিনই প্রায় এক লাখ মানুষ নতুন করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসছে বলে এক গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2020, 08:08 AM
Updated : 29 Oct 2020, 08:48 AM

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ওই গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯ মহামারীর গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং এখন প্রতি ৯ দিনেই আনুমানিক দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে।

গবেষকরা একে ‘সংকটকালীন পর্যায়’ অভিহিত করে এর গতিমুখ ‘ অবশ্যই বদলাতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ফ্রান্স ও জার্মানি এরইমধ্যে ফের লকডাউনের জারির ঘোষণা দিলেও যুক্তরাজ্য সরকার ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনার উপরই ভরসা রাখছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বসন্তে সংক্রমণের সর্বোচ্চ মাত্রা দেখার পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য ।

দেশটিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কেমন, সে সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য থাকায় ‘রিয়েক্ট ১’ নামের এই গবেষণাটি ‘ব্যাপক প্রভাব রাখতে সক্ষম’ বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে ৮৬ হাজার স্বেচ্ছাসেব অংশ নিয়েছেন, সর্বশেষ নমুনা (সোয়াব) নেওয়া হয়েছে রোববার।

গবেষণায় দেখা গেছে, ইংল্যান্ডে এখন প্রতিটি এলাকায় এবং প্রতিটি বয়সভিত্তিক গ্রুপে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। উত্তরের এলাকাগুলোতে এখন সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হলেও দক্ষিণেও সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের এই গবেষণায় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া সোয়াবের সঙ্গে ১৬ থেকে ২৫ অক্টোবর নেওয়া সোয়াবের তুলনা করা হয়।

এতে আগেরবারের তুলনায় পরেরবার দ্বিগুণেরও বেশি সংখ্যক আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইংল্যান্ডে এখন প্রতি ৭৮ জনে একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হচ্ছে।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইয়র্কশায়ার অ্যান্ড দ্য হাম্বারের। সেখানে প্রতি ৩৭ জনের মধ্যে একজন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এরপর ভাইরাসের দাপট সবচেয়ে বেশি ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে।

প্রথমবার নেওয়া সোয়াবের সঙ্গে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া সোয়াবের তুলনা করে ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার তিনগুণ এবং ৬৫-ঊর্ধ্বদের দ্বিগুণ বেড়ে গেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

 ‘রিয়েক্ট ১’ গবেষণায় প্রতিদিন ইংল্যান্ডের ৯৬ হাজার মানুষ প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসছেন বলে ধারণা পাওয়া গেছে।  

গবেষকদের অন্যতম অধ্যাপক স্টিভেন রিলে বলেছেন, তথ্য আসা শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি ‘অত্যন্ত হতাশ’ হয়ে পড়েন। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এখন যেসব বিধিনিষেধ আছে, তা যে যথেষ্ট নয়, গবেষণার তথ্যই তা বলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।