চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশ এখন নিজেদের মধ্যে ভূউপগ্রহের সংবেদনশীল তথ্য (ডেটা) বিনিময় করতে পারবে। ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন বা অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হেনে সেগুলো ধ্বংস করতে ভূউপগ্রহের ওইসব তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ‘২+২’ উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর দুই দেশের মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এশিয়ার চীনের বাড়তে থাকা প্রভাব মোকাবেলায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে চাইছে।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও আলোচনায় বসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গে।
বৈঠকের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘গত দুই দশকে আমাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অবিচলভাবে বস্তুগত, বাস্তবসম্মত এবং তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়েছে।”
নতুন চুক্তির ফলে দুই দেশ এখন ‘জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারবে’ বলেও জানান জয়শঙ্কর।
ওই চুক্তির নাম ‘দ্য বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট’ (বিইসিএ)। যুক্তরাষ্ট্র খুবই ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশের সঙ্গে এই চুক্তি করে।
এই চুক্তির ফলে ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের সংবেদনশীল ভূ-স্থানিক এবং আকাশ সংক্রান্ত উপগ্রহের তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের সুযোগ পাবে। যা সামরিক অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দুই দেশ পরমাণু শক্তি, ভূ বিজ্ঞান এবং বিকল্প ওষুধ ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।