হোয়াইট হাউসের চাবি : ইলেকটোরাল কলেজ ভোট

আগামী ৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গোটা বিশ্বে মানুষের জীবযাত্রার ওপর এই দেশের প্রেসিডেন্টের বড় ধরনের প্রভাব থাকার কারণে এবারের নির্বাচনে কে জয় পাচ্ছেন তা প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

আফসার বিপুলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2020, 12:21 PM
Updated : 4 Nov 2020, 03:05 AM

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মাত্র দুটি দলের আধিপত্য। রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাট। তাই প্রেসিডেন্ট সবসময়ই হয়ে থাকেন এই দুই দলেরই কোনও একটি থেকে।

রিপাবলিকান পার্টি যুক্তরাষ্ট্রের একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল। এবছর এই দলের প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট পার্টি যুক্তরাষ্ট্রের একটি উদারনৈতিক রাজনৈতিক দল। এবছর এই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন।

এবারের নির্বাচনের এই দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরই বয়স ৭০ এর ওপরে। ট্রাম্প জিতলে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হবে ৭৪ বছর বয়সে। আর বাইডেন জিতলে ৭৮ বছর বয়সে প্রথম মেয়াদে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট।

কে জয়ী তা নির্ধারিত হবে কিভাবে?

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী জয়ী নাও হতে পারেন, কম ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট হতে পারেন একজন প্রার্থী।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজ নামের ২০০ বছর পুরনো একটি বিশেষ পদ্ধতির কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এই ইলেকটোরাল কলেজে যিনি ভাল করেন তার হাতেই যায় হোয়াইট হাউসের চাবি। এখানে ভোটারদের সরাসরি ভোটে না বরং পরোক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে প্রার্থীকে সাধারণত দুই ধরনের ভোটে জিততে হয়। এর একটি হচ্ছে জনসাধারণের ভোট, যা ‘পপুলার ভোট’ হিসেবে পরিচিত; আরেকটি হচ্ছে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। এই দুটির মধ্যে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটেই প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়।   

চার বছর আগে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন প্রায় ৩০ লাখ বেশি ভোট পেয়েও হেরেছিলেন।  

কী এই ‘ইলেকটোরাল কলেজ’?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে একদল কর্মকর্তাকে নির্বাচিত করে থাকেন, তাদের বলা হয় ইলেকটর। এই ইলেকটররাই নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। একটি রাজ্যের ইলেকটরদের একসঙ্গে ইলেকটোরাল কলেজ বলা হয়।

৫০টি রাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ (ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া) দেশটিতে মোট ইলেকটোরাল কলেজ ৫১টি।

এই ইলেকটোরাল কলেজই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করে।

এক একটি রাজ্যে ইলেকটরের সংখ্যা একেকরকম। এটি নির্ধারিত হয় কংগ্রেসে রাজ্যের কতোজন প্রতিনিধি ও সিনেটর আছেন তার বিচারে। জনসংখ্যার ওপর রাজ্যগুলোর প্রতিনিধির সংখ্যা নির্ভর করে, প্রতি ১০ বছর পর পর আদমশুমারির মাধ্যম এটি নির্ধারণ করা হয়।

সাংবিধানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের দুই কক্ষে থাকা আসনের (হাউজ অব রিপ্রেসেনটেটিভের ৪৩৫, সিনেটের ১০০) বিপরীতে রাজ্যগুলো তাদের জন্য নির্ধারিত ইলেকটর পায়। ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার কোনও কংগ্রেস প্রতিনিধি না থাকলেও সেখান থেকে আসেন তিনজন ইলেকটর।

নির্বাচনের দিন ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীর কথা মাথায় রেখে ভোট দিলেও আসলে তারা ৫১টি ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত করে তাদের হাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে দেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এই ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হয়। অর্ধশত রাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি পেলেই হাতে আসে হোয়াইট হাউজের চাবি।

কোন রাজ্যে কতো ইলেকটোরাল ভোট

সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়, ৫৫টি। এরপর রয়েছে টেক্সাস ৩৮, নিউ ইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় ২৯, ইলিনয় ও পেনসিলভানিয়ায় ২০টি করে।

এছাড়া, ওহাইওতে ১৮, মিশিগান ও জর্জিয়ায় ১৬, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫, নিউ জার্সিতে ১৪, ভার্জিনিয়াতে ১৩, ওয়াশিংটনে ১২, আরিজোনা, টেনেসি, ম্যাসাচুসেটস ও ইন্ডিয়ানায় ১১, মিনেসোটা, উইসকনসিন, ম্যারিল্যান্ড ও মিজৌরিতে ১০, অ্যালবামা, সাউথ ক্যারোলাইনা ও কলোরাডোতে ৯, কেন্টাকি ও লুইজিয়ানায় ৮, কনেটিকাট, অরিগন ও ওকলাহোমায় ৭, মিসিসিপি, আরকানস, ক্যানজাস, আইয়োয়া, নেভাডা ও ইউটায় ৬; ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, নিউ মেক্সিকো ও নেব্রাস্কায় ৫; নিউ হ্যাম্পশায়ার, মেইন, রোড আইল্যান্ড, আইডাহো ও হাওয়াইতে ৪; মন্টেনা, নর্থ ডেকোটা, ভারমন্ট, ডেলাওয়ার, ওয়াইওমিং, সাউথ ডেকোটা ও আলাস্কায় ৩টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।

উইনার-টেইক-অল:

বেশিরভাগ রাজ্যে নিয়ম হল- ‘উইনার-টেইক-অল’। মানে কোনও রাজ্যে যদি দশটি ইলেকটোরাল ভোট থাকে, তার মধ্যে যে দল অন্তত ছয়টি, অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেকটোরাল ভোট পাবে, ওই রাজ্যের সবগুলো অর্থাৎ দশটি ইলেকটোরাল ভোটই সেই দলের বলে গণ্য হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৮টি রাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় এই নিয়ম অনুসরণ কর হয়। কিন্তু নেব্রাস্কা ও মেইন রাজ্যে ‘উইনার-টেইক-অল’ নিয়ম অনুসরণ করা হয় না, এখানে প্রার্থীদের পাওয়া ভোটের অনুপাতে ইলেকটোরাল ভোট ভাগ করে দেওয়া হয়।

জনগণের সরাসরি ভোটে এগিয়ে থেকেও ইলেকটোরাল ভোটে হেরে যাওয়ার নজির আছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রত্যক্ষ ভোটের হিসাবে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি রিপাবলিকান ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট বেশি পেলেও ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে হেরে যান। 

তার আগে ২০০০ সালে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী আল গোরের কাছে সরাসরি ভোটে হেরে যাওয়ার পরও ইলেকটোরাল ভোটে জিতে হোয়াইট হাউজের টিকেট পেয়েছিলেন রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশ।

কেন এই পদ্ধতি?

১৭৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান যখন প্রণয়ন করা হয় তখন একটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা বাস্তবে অসম্ভব ছিল। এর কারণ ছিল দেশটির আয়তন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পশ্চাৎপদতা।

ওই সময় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনপ্রণেতাদের প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করার উৎসাহও তখন তেমন একটা ছিল না।     

তাই সংবিধান প্রণেতারা ইলেকটোরাল কলেজ সৃষ্টি করলেন, প্রতিটি রাজ্যকে ইলেকটর দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিকা রাখার সুযোগ দেওয়া হল।  

দেশজুড়ে ভোটে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চেয়ে এ পদ্ধতিতে ছোট রাজ্যগুলোর বেশি বক্তব্য রাখার সুযোগ থাকায় তারা ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি সমর্থন করল।

ইলেটোরাল ভোটের সংখ্যা রাজ্যের জনসংখ্যার আকারের ভিত্তিতে নির্ধারিত হতো বিধায় দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সরাসরি ভোটের চেয়ে এ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব রাখার সুযোগ পাওয়ায় তারাও এ পদ্ধতি সমর্থন করল।

কারণ এখানে জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ছিল দাসরা। দাসদের ভোটাধিকার না থাকলেও আদমশুমারিতে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের তিন-পঞ্চমাংশ ধরে তাদেরও গণনা করা হত। 

যে প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ইলেকটরদেরকে কী তাকেই ভোট দিতে হবে?

ভোটাররা কাকে বেশি ভোট দিলেন তা বিবেচনা না করেই কিছু রাজ্যের ইলেকটররা তাদের পছন্দমতো যে কোনও প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে ইলেকটররা তাদের রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন প্রায় সবসময় তাকেই ভোট দেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাজ্যের বেছে নেওয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিলে ওই ইলেকটরকে ‘অবিশ্বস্ত’ বলা হয়। ২০১৬ সালে এ রকম সাতটি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পড়েছিল, কিন্তু অবিশ্বস্ত ইলেকটররা ফলাফল পরিবর্তন করতে পারেননি।

যদি কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে কী হবে?

এরকম কোনও পরিস্থিতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১২তম সংশোধনী অনুযায়ী কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ, প্রতিনিধি পরিষদ, ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে্ আর সিনেট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে।

তবে এ পর্যন্ত মাত্র একবার এমনটি ঘটেছিল। ১৮২৪ সালে চার জন প্রার্থীর মধ্যে ইলেকটোরাল ভোট ভাগাভাগি হওয়ার পর তাদের মধ্যে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পদ্ধতিতে দুই রাজনৈতিক দলের অধিপত্য তৈরি হওয়ায় এখন আর তেমনটি হবে না বলে ধরে নেওয়া হয়।

ইলেকটোরাল ভোটের অসম বন্টন:

যদিও একটি রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যায় সেই রাজ্যের জনসংখ্যার প্রতিফলন ঘটে, কিন্তু রাজ্যপ্রতি অন্তত ৩টি ভোট থাকার নিয়মের কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইলেকটোরাল ভোটের আপেক্ষিক প্রতিনিধিত্বের মান বিভিন্ন হয়। 

এই নিয়মের কারণে নর্থ ও সাউথ ডাকোটা এবং নিউ ইংল্যান্ডের ছোট রাজ্যগুলো তাদের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায় বেশি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে গেছে। অপরদিকে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডার মতো অধিক জনসংখ্যার রাজ্যগুলো তুলনামূকভাবে কম ইলেকটোরাল ভোটের অধিকারী।

ওয়াইওমিংয়ের প্রতি এক লাখ ৯৩ হাজার লোকের জন্য একটি ইলেকটোরাল ভোট আছে, তুলনায় ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিটি ইলেকটোরাল ভোট সাত লাখ ১৮ হাজার লোকের প্রতিনিধিত্ব করছে। এর অর্থ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ইলেকটোরাল ভোট ওয়াইওমিংয়ের একটি ভোটের তিনগুণেরও বেশি লোকের প্রতিনিধিত্ব করছে। সারা দেশজুড়েই এই অসমতা বিরাজমান।  

ভোটের ফল কখন পাওয়া যাবে?

প্রতিটি ভোট গণনা করতে কয়েক দিনও লেগে যেতে পারে। তবে সাধারণত যেদিন ভোট হয়, তার পরের দিন সকালেই জয়ী কে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।

২০১৬ সালে নির্বাচনে জয়ের পর ডনাল্ড ট্রাম্প রাত তিনটাতেই নিউ ইয়র্কের মঞ্চে সমর্থকদের সামনে বিজয়ীর ভাষণ দিতে উঠেছিলেন।

তবে এবারের নির্বাচন গতবারের ভোটের মতো নাও হতে পারে। কারণ, এবার করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পোস্টাল বা ডাকযোগে ভোটের ব্যবস্থা থাকায় ভোটের ফল পেতে কয়েকদিন বা কয়েকসপ্তাহ পর্যন্তও অপেক্ষার প্রহর গুণতে হতে পারে।

কেবল কী প্রেসিডেন্টই নির্বাচিত হচ্ছেন?

না, নির্বাচনের সব মনোযোগ ট্রাম্প না বাইডেন কে জিতছেন তার ওপর নিবদ্ধ থাকলেও এই নির্বাচনে ভোটাররা আসলে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি কংগ্রেসের নতুন সদস্যদেরকেও বেছে নেবেন।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। তাই তারা এবারের নির্বাচনে তা ধরে রাখার পাশাপাশি সিনেটেও নিয়ন্ত্রণ করায়ত্ব করার চেষ্টা করবে।

দুই কক্ষেই ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি আবারও নির্বাচিত হন, সেক্ষেত্রে তারা প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনায় বাধ সাধা কিংবা তাতে বিলম্ব ঘটাতে পারবে।

প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সবগুলোতে এবং সিনেটের ৩৩ আসনে এবছর ভোট হচ্ছে ।

জয়ী প্রার্থী দায়িত্ব নেবেন কখন?

 নির্বাচনে জো বাইডেন জয়ী হলেই যে সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের স্থলাভিষিক্ত হবেন তা নয়। কারণ, নতুন নেতাকে মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী নিয়োগ করা এবং অন্যান্য পরিকল্পনা করার জন্য কিছুটা সময় নিতে হয়।

এরপরই নতুন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিতে পারেন। সাধারণত এই শপথ হয় ২০ জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে।

এই শপথ অনুষ্ঠানের পরই নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে যান চারবছর মেয়াদে দায়িত্ব পালনের জন্য।

(সূত্র; বিবিসি, গার্ডিয়ান, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা)