এবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কঠোর সমালোচনায় ইমরান খান

ইসলাম নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মনোভাবের জন্য তার সম্পর্কে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের অপমানজনক মন্তব্যর পর এবার ম্যাক্রোঁর কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

>>রয়টার্স
Published : 25 Oct 2020, 07:45 PM
Updated : 25 Oct 2020, 08:46 PM

রোববার ইমরান খান বলেছেন, নবী মুহাম্মদের (সা.) ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনকে উৎসাহিত করে ম্যাক্রোঁ ‘ইসলামকে আক্রমণ’ করছেন।

ফ্রান্সে ইতিহাসের এক শিক্ষক ক্লাসে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখানোর কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পর ম্যাক্রোঁ মৌলবাদী ইসলামের বিপরীতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা নিয়ে দৃঢ়কণ্ঠে কথা বলেছেন।

‘ফ্রান্স ব্যঙ্গচিত্র দেখানো বন্ধ করবে না’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। ম্যাক্রোঁর এই অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান এরই মধ্যে ‘তার মানসিক চিকিৎসা দরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন।

আর এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইটারে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সমালোচনায় বলেছেন, “ইসলাম এবং আমাদের নবীকে নিশানা করে অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শনকে উৎসাহ দিয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমানদের এমনকী নিজ দেশের নাগরিকদের উস্কানি দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন; এটি দুঃখজনক।”

মহানবীর কার্টুন প্রদর্শনকে মুসলিমরা অবমাননা হিসাবেই দেখে। গত ১৭ অক্টোবর ফরাসি ইতিহাস শিক্ষক সেমুয়েল প্যাটি ক্লাসে এই কার্টুন দেখানোর পরই স্কুলের বাইরে চেচেন বংশোদ্ভূত এক তরুণের হাতে খুন হন।

ম্যাক্রোঁ এই শিক্ষককে ‘বীর’ আখ্যা দিয়েছেন এবং ইসলামপন্থিদেরকে দেশের জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করেছেন।

ইমরান খান বলেন, “ম্যাক্রোঁ চরমপন্থিদেরকে ছাড় না দেওয়ার কথা বলে অপরাধের প্রতিকারের একটি পরশ বুলিয়ে দিতে পারতেন।”

“কিন্তু তিনি সহিংসতা সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী- সে মুসলিম, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী কিংবা নাৎসী আদর্শবাদী যেই হোক না কেন- তাদেরকে আক্রমণ না করে বরং ইসলামকে আক্রমণ করে ইসলাম বিদ্বেষ উৎসাহিত করার পথ বেছে নিয়েছেন।”

“ইসলামকে না বুঝেই এ ধর্মকে আক্রমণ করে কথা বলে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইউরোপ এবং বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মুসলিমের ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন।”

উল্লেখ্য, ফ্রান্সে সম্প্রতি কয়েকবছরে দফায় দফায় জঙ্গি হামলা হয়েছে।

বিতর্কিত কার্টুন ছাপার জেরে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি প্যারিসে শার্লি এবদু কার্যালয়ে ঢুকে গুলি চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করে উগ্রপন্থি মুসলিম দুই ভাই। মারা গিয়েছিল ফ্রান্সের বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট-সহ ১২ জন।

তাছাড়া, ওই বছরই নভেম্বরে ফ্রান্সের একটি থিয়েটার এবং প্যারিসের আশেপাশের এলাকায় গুলির ঘটনায় ১৩০ জন নিহত হয়।