জাপান সরকার ফুকুশিমা কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় দূষিত ১০ লক্ষাধিক টন পানি সাগরে ফেলবে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরোনোর পর গ্রিনপিস এর কুপ্রভাবের দিকটি খতিয়ে দেখে এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, ‘স্টেমিং দ্য টাইড ২০২০: দ্য রিয়েলিটি অব দ্য ফুকুশিমা রেডিওঅ্যাকটিভ ওয়াটার ক্রাইসিস’ শীর্ষক গ্রিনপিসের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে শুক্রবার।
এতে বলা হয়েছে, দূষিত ওই পানিতে আছে ‘বিপজ্জনক মাত্রার কার্বন-১৪’। এই তেজস্ক্রিয় উপাদানে মানব ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে।
জাপান সরকার গ্রিনপিসের এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। সরকার বলছে, পরিশোধন করে পানির তেজস্ক্রিয়তা কমানোর চেষ্টা চলছে এবং বিজ্ঞানীদেরও অনেকেই বলছেন এই পানির ঝুঁকি কম।
তবে গ্রিনপিস অভিযোগ করে বলেছে, সরকার এই তেজক্রিয় পানির ঝুঁকি কম করে দেখানোর চেষ্টা করছে।
২০১১ সালে জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুকুশিমার দায়িচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
কেন্দ্রটি শীতল করতে ব্যবহৃত পানিসহ পরমাণু চুল্লির টন টন তেজস্ক্রিয় পানি কীভাবে অপসারণ করা হবে তা নিয়ে কয়েক বছরের বিতর্কের পর জাপান সরকার এই পানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে বলে কিছুদিন আগেই গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
তেজস্ক্রিয় দূষিত পানি সাগরে ফেলা হলে পরিবেশ এবং মৎস শিল্পে এর ক্ষতিকর প্রভাবের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাপানের পরিবেশবাদীরাসহ স্থানীয় জেলেরা।
তেজস্ক্রিয় পানি অপসারণের আরও দুটি বিকল্প পন্থা আছে। আর তা হচ্ছে, পানি বাষ্পীভূত করা কিংবা অন্যান্য স্থানে এই পানি জমা রাখার ট্যাংক নির্মাণ করা।
তবে জাপান সরকার ব্যাপক বিরোধিতার মুখেও বরাবরই প্রশান্ত মহাসাগরে পানি ফেলার পথই বেছে নেওয়ার আভাস দিয়ে এসেছে।