বৃহস্পতিবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লেবাননের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। পার্লামেন্ট সদস্যদের বেশিরভাগেরই সমর্থন পেয়েছেন হারিরি।
তিনি দ্রুতই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; যাতে দেশকে গভীর সংকট থেকে বের করে আনা যায়। এবার নিয়ে সাদ হারিরি চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন।
কিন্তু লেবাননের জটিল সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মন্ত্রিসভা গঠন করা হারিরির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
তাছাড়া, ১৯৭৫-১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর লেবানন এখন সবচেয়ে সংকটময় সময় পাড়ি দিচ্ছে। দেশটিতে ব্যাংকিং, মুদ্রা সঙ্কট, রাষ্ট্রীয় ঋণ এবং দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
নতুন সরকারকে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলার পাশাপাশি গত আগস্টে রাজধানী বৈরুতে বিস্ফোরণের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হবে।
বৈরুতের বন্দরে রাসায়নিকের গুদামে ভযাবহ বিস্ফোরণের ধাক্কায় লেবানন সরকারের পতনের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হয়েছিলেন মুস্তফা আদিব। কিন্তু দেশকে উদ্ধারের মিশনে নেমেও শেষমেষ হাল ছেড়ে দিয়ে গত মাসেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন।
ফ্রান্স লেবাননকে হুঁশিয়ার করে বলেছিল, দ্রুত দেশে পুনর্গঠনের কাজ শুরু না হলে রাজনীতিকরা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বেন। আদিব সরে দাঁড়ানোয় সেই প্রচেষ্টা বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।
এবার সাদ হারিরির সামনে আছে এ গুরুদায়িত্ব। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, “দুর্ভোগের মধ্যে থাকা লেবাননবাসীকে বলছি, আমি দেশের জন্য হুমকি হয়ে থাকা অর্থনীতি, সমাজ এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকানোর জন্য কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর।”
সুন্নি রাজনীতিবিদ সাদ হারিরি এর আগে ২০০৯ সাল থেকে তিনবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। লেবাননের সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একজন সুন্নি মুসলিমই প্রধানমন্ত্রীর পদটি পান।