স্পিরিট এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ওঠা ওই নারী যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন সেসময় কর্মকর্তাদের কেউই তা জানতেন না।
চলতি সপ্তাহে বিষয়টি উন্মোচিত হয় বলে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, স্পিরিট এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি লাস ভেগাস থেকে ২৪ জুলাই ডালাসের ফোর্ট ওর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পথে রওনা হয়। পথিমধ্যে ওই নারী নিঃসাড় হয়ে পড়লে বিমান অ্যালবাকার্কির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
অ্যালবাকার্কিতে নামার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন অ্যালবাকার্কি ইন্টারন্যাশনাল সানপোর্টের মুখপাত্র স্টেফানি কিটস। ।
বিমান মাঝ আকাশে থাকা অবস্থাতেই ৩৮ বছর বয়সী ওই নারী অচেতন হয়ে পড়েন এবং তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়; সেসময় ফ্লাইটটির এক ক্রু তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন বলে ঘটনা সম্পর্কে লেখা পুলিশের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
অ্যালবাকার্কি বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করার পর সেখানকার জরুরি ক্রুরাও নারীটিকে বিমান থেকে নামিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও কিছুক্ষণ পর তারা হাল ছেড়ে দেন।
নিউ মেক্সিকোর কর্মকর্তারা পরে তদন্ত শেষে ডালাসের ওই নারীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণকে দায়ী করেছেন; নারীটির হাঁপানি ও স্থূলতাও ছিল।
মার্কিন ওই নারী যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ছিলেন অ্যালবাকার্কির বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকরা সেসময় তা না জানায় তাকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছিল, বলেছেন কিটস।
ডালাসের কর্মকর্তারা জানান, তারা মৃত নারীটির নাম তাদের রোববারের কোভিড-১৯ মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত করে নিয়েছেন।
স্পিরিট এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র এরিক হফমেয়ার মৃত নারীর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, তাদের এয়ারলাইন্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশনা মেনে চলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তে অনুরোধের ক্ষেত্রে স্পিরিট এয়ারলাইন্স যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন এরিক।
২৪ জুলাইয়ের ওই ফ্লাইটে সবমিলিয়ে কতজন ছিলেন এবং তার মধ্যে কতজন ওই নারীটির সংস্পর্শে এসেছিলেন তা জানা যায়নি।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ফ্লাইটে ওই নারীর সঙ্গে তার এক আত্মীয়ও ছিলেন। মারা যাওয়া নারী শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বলে ওই আত্মীয় পরে পুলিশকে জানিয়েছিলেন।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বিষয়ে ৩৮ বছর বয়সী ওই নারী অবগত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার আত্মীয়ও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।