কেন্দ্রীয় সরকারের করোনাভাইরাস বিষয়ক পূর্বাভাস কমিটির এক সদস্য সোমবার এই আভাস দেন। তবে এর ফলে পরবর্তীতে সংক্রমণের গতি কমে আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ পর্যন্ত ভারতে সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ দশমিক ৫ লাখ। বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরই আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত।
যদিও ভারতে কোভিডের প্রথম ঢেউ ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসছে সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকে। ক্রমশ কমছে শনাক্তের সংখ্যা। বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের হিসাবে শানক্ত রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজারের আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করছে।
কিন্তু বাস্তবে আরও অনেক বেশি মানুষই আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করছে সরকারের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান বিষয়ক পূর্বাভাস কমিটি।
রয়টার্সকে কমিটির সদস্য আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেছেন, তাদের গাণিতিক মডেল অনুযায়ী, “ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ এখন কোভিড আক্রান্ত। আর এই সংখ্যা ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেড়ে ৫০ শতাংশে চলে যেতে পারে।”
ভারত সরকারের করা সেরোলজিক্যাল সার্ভে অনুযায়ী, ১৪ শতাংশ মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আছে। কিন্তু কমিটির অঙ্কের হিসেব বলছে, সংখ্যাটি আরও বেশি।
আগরওয়ালের মতে, জনসংখ্যা এতটাই বৃহৎ যে, এর ফলে সেরোলোজিক্যাল সার্ভের স্যাম্পলিং নির্ভুলভাবে করা নাও যেতে পারে। একারণেই কমিটি গাণিতিক মডেলের ওপর নির্ভর করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কমিটির এই পদ্ধতি সম্পর্কে আগরওয়াল বলেন, তারা এমন সব সংক্রমণের ঘটনাও গণ্য করেছেন যেগুলোর রিপোর্ট হয়নি; যাতে সংক্রমিত মানুষদেরকে দুটি আলাদা শ্রেনিতে ভাগ করা যায়।
কমিটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরার নির্দেশ যদি উপেক্ষা করা হয় তাহলে তাদের পূর্বানুমান ছাড়িয়েও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে একমাসেই সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে ২৬ লাখ।