তিনি বলেন, নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ‘সুনামির’ কাছাকাছি পৌঁছেছে, যেখানে কর্তৃপক্ষ আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না।
সোমবার সংক্রমণ ঠেকাতে বেলজিয়াম নতুন করে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বার, রেস্তোরাঁ সব চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। রাত্রিকালীন কারফিউও জারি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউরোপজুড়েই সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। আর সংক্রমণ ঠেকাতে মহাদেশজুড়েই নানা কঠোর বিধিনিষেধও আরোপ হচ্ছে।
ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় একগুচ্ছ নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইতালি। ফ্রান্সও কড়া পদক্ষেপে কারফিউ জারি করেছে। চেক প্রজাতন্ত্র পুরোপুরি লকডাউনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
বেলজিয়ামের অবস্থা কতটা খারাপ?
এবছর ইউরোপে করোনাভাইরাস মহামারীর প্রথম ঢেউয়ের সময়ও বেলজিয়ামের অবস্থা ছিল শোচনীয়।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবমতে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে প্রতি ১ লাখ মানুষের মৃত্যুর সামগ্রিক হিসাবে বেলজিয়াম আছে তৃতীয়-সর্বোচ্চ অবস্থানে।
বেলজিয়ামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানী ব্রাসেলস এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতিকে ‘গোটা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরটিএল সম্প্রচারমাধ্যমে তিনি জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “সরকারের কেবল একটি বার্তাই আপনাদেরকে দেওয়ার আছে; তা হচ্ছে, নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন, প্রিয়জনদের সুরক্ষিত রাখুন, যাতে কেউ আক্রান্ত না হয়।”
বেলজিয়ামের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের হিসাবমতে, দেশটিতে গত ৭ দিন ধরে দৈনিক ৭,৮৭৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। এই সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৭৯ শতাংশ বেশি।
গত মঙ্গলবার দেশটিতে ২৪ ঘন্টাতেই ১২ হাজার ৫১ জন শনাক্ত হয়েছিল। মহামারীর শুরু থেকে দৈনিক হিসাবে এ সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ।
বেলজিয়ামে হাসপাতালেও বেড়ে যাচ্ছে রোগীর সংখ্যা। সোমবার ২ হাজার ৪৮৫ জন কোভিড-১৯ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সংক্রমণের হার কমানো না গেলে নভেম্বরের মাঝামাঝিতেই হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে আর জায়গা থাকবে না বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার ডি ক্রু বলেছেন, পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক। ১৮ মার্চে যখন লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল তার চেয়েও এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ।”