শিক্ষক খুন: ফ্রান্সে বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি,জেরা

ফ্রান্সে ছুরি হামলার শিকার হয়ে এক শিক্ষকের মৃত্যুর পর ইসলামপন্থি সন্দেহে এক ডজনেরও বেশি বাড়িতে এবং ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

>>রয়টার্স
Published : 19 Oct 2020, 03:36 PM
Updated : 19 Oct 2020, 03:36 PM

চরম ধর্মীয় বিশ্বাস থাকার সন্দেহে বিদেশিদের বিরুদ্ধে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। শিক্ষকের ওপর হামলাকারীর সমর্থনে স্যোশাল মিডিয়ায় বার্তা পোস্ট করার সন্দেহে অনেককে জেরাও করা হচ্ছে।

ফ্রান্সের ৫১ টি মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন তদন্তনাধীনে আছে বলে জানিয়েছে সরকার। তদন্তে এই মুসলিম সংগঠনগুলোর ঘৃণা ছড়ানোর আলামত পাওয়া গেলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, অনলাইনে হামলাকারীর সমর্থনে বার্তা পোস্ট করার সন্দেহে ৮০ জনকে পুলিশ জেরা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তাছাড়া, মুসলিম কমিউনিটির প্রায় ৫০ টি অ্যাসোসিয়েন ভেঙে দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইউরোপ ওয়ান বেতারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পুলিশী অভিযান চলছে, আরও চলবে।”

এর আগে রোববার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, চরম ধর্মীয় বিশ্বাস আছে সন্দেহে সরকারের নজরদারিতে থাকা ২১৩ জন বিদেশিকে বিতাড়িত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্রান্স। এই বিদেশিদের প্রায় ১৫০ জন জেলে সাজা খাটছে।

গত শুক্রবার শিক্ষক খুনের ঘটনার আগে থেকেই এই বিদেশিদের বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

গত শুক্রবার ৪৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষক সেমুয়েল প্যাটিকে প্রকাশ্য কিবালোকে গলা কেটে হত্যার পর ঘটনাস্থলের কাছেই পাহারায় থাকা পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়।

চলতি মাসের শুরুতে ইতিহাসের ওই শিক্ষক তার ক্লাসরুমে নবী মোহাম্মদ (সাঃ) ব্যাঙ্গচিত্র দেখিয়েছিলেন। এরপর স্কুলের বাইরের রাস্তাতেই ছুরি হামলায় তিনি খুন হন।

হামলাকারী চেচেন বংশোদ্ভূত ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ বলে জানিয়েছে ফরাসী গণমাধ্যম। পুলিশ হামলাকারীকে গুলি করে হত্যার পর এ পর্যন্ত শিক্ষক খুনের ঘটনায় জড়িত আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।