থাইল্যান্ডে ফের বিক্ষোভ, আলোচনা চান প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষ করে রোববার টানা চতুর্থদিনের মতো রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় নেমে এসেছে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা।

>>রয়টার্স
Published : 18 Oct 2020, 03:18 PM
Updated : 18 Oct 2020, 03:18 PM

এ পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান -ওচা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এবং তার সরকার আলোচনা চাইছেন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র।

বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়, জলকামান ব্যবহার এমনকি ব্যাংককের মেট্রো রেল ব্যবস্থাও প্রায় পুরোটাই বন্ধ করেও পরিস্থিতি শান্ত করা যাচ্ছে না।

রোববার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্যাংককের রাস্তায় নেমে একনায়কত্বের পতন এবং রাজতন্ত্রের সংস্কার দাবি করেছে। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করে।

আটক নেতাকর্মীদের মুক্তিরও দাবি জানায় তারা। তাদের কারও কারও হাতে নেতাদের ছবিও ছিল।

মানবাধিকার বিষয়ক থাই আইনজীবীরা বলছেন, গত ১৩ অক্টোবর থেকে পুলিশ প্রায় ৮০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৭ জন এখনও জেলে আছে। তবে পুলিশ আটক হওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানায়নি।

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার মুখপাত্র আনুচা বলেছেন, দেশজুড়ে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের সুযোগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা সহিংসতা উস্কে দিতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, “সরকার আলোচনায় বসে একসঙ্গে একটি সমাধান খুঁজে পেতে চায়।” তবে সরকার কার সঙ্গে কথা বলতে চায় সে বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে বলেন নি আনুচা।

প্রতিবাদকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগ এবং রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণের ক্ষমতা খর্বের দাবিতেও আন্দোলন করছে।

থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, রাজতন্ত্রের অবমাননা করলে ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে, কিন্তু তা আর গ্রাহ্য করছে না প্রতিবাদকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করার মত সাহসী হয়ে উঠছে তারা।

আরও পড়ুন: