রোববার স্থানীয় সময় সকালে ৪র্থ সামরিক অঞ্চলের একটি ইউনিটের ব্যারাক ভূমিধসের কবলে পড়ে বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই ঘটনায় শান্তিকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি সেনা হারানোর ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ভিয়েতনাম। দেশটি গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মোকাবেলা করছে।
অক্টোবরের প্রথমদিক থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিপাতে ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চজুড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। এতে এ পর্যন্ত ৭০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও ভারি বৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে কোয়াং ছির পার্শ্ববর্তী থো থিন হোয়ে প্রদেশ আরেকটি ভূমিধসের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছিল। নিহতদের অধিকাংশই সৈন্য।
“আমাদের আরেকটি ঘুমহীন রাত গেল,” রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফান ভান জাং।
পরে নিখোঁজ সৈন্যদের মধ্যে তিন জনের লাশ খুঁজে পাওয়া গেছে বলে সরকার জানিয়েছে।
এক ফেইসবুক পোস্টে দেশটির সরকার বলেছে, “প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা আর কখনো এতো সামরিক সদস্য হারাইনি। যাদের হারিয়েছি তাদের মধ্যে দুই জন জেনারেল ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আছেন।”
রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, কোয়াং ছি প্রদেশের নদীগুলোর পানি ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় উঠেছে।
গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থো থিন হোয়ে প্রদেশের একটি পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের আরেকটি ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নির্মাণ শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছিল। তাদের খোঁজে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই তল্লাশি কাজ চালিয়েছিল উদ্ধার কর্মীরা।
দেশটির আবহওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে বুধবার পর্যন্ত ৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।