নিউ জিল্যান্ডের নির্বাচনে অ’ডুর্নের দলের বড় জয়

নিউ জিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্নের লেবার পার্টি বড় ধরনের জয় পেয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 01:12 PM
Updated : 17 Oct 2020, 02:17 PM

শনিবার অধিকাংশ ভোট গণনার পর অ’ডুর্নের নেতৃত্বাধীন মধ্যবামপন্থি দলটি ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বিরোধীদল মধ্যডানপন্থি ন্যাশনাল পার্টি পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে।

এ নির্বাচন সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় ভোট এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়।

দক্ষতার সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলা করায় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্নই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন বলে ভোটের আগে হওয়া সব জনমত জরিপে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফলে জরিপের ইঙ্গিতেরই প্রতিফলন ঘটল।  

নিউ জিল্যান্ডের এখনকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দলের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন দুরূহ। কিন্তু অ’ডুর্নের জনপ্রিয়তার কারণে তার দল সে বাধা সহজেই অতিক্রম করল।

১৯৯৬ সালে দেশটিতে মিশ্র সদস্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (এমএমপি) ব্যবস্থা চালুর পর কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

নিউ জিল্যান্ডের নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, ভোটের ৪৯ শতাংশ পেয়েছে লেবার পার্টি, ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ২৭ শতাংশ এবং এসিটি নিউ জিল্যান্ড ও গ্রিন পার্টিগুলো আট শতাংশ করে ভোট পেয়েছে। নিউ জিল্যান্ডের পার্লামেন্টে মাউরি প্রার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু আসন সংরক্ষিত আছে।

নির্বাচনের জয়ের পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে অ’ডুর্ন বলেন, “প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে লেবার পার্টির প্রতি সবচেয়ে বড় সমর্থন দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।”

নির্বাচনে জয়ের জন্য ন্যাশনাল পার্টির নেতা জুডিথ কলিন্স অ’ডুর্নকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

বিবিসি জানাচ্ছে, অ’ডুর্নের লেবার পার্টি পার্লামেন্টে ৬৪টি আসন পেতে পারে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যথেষ্ট।  

অ’ডুর্নের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও অর্থ দেওয়া, সবচেয়ে বেশি আয় করা ২ শতাংশের উপর আরও করারোপ এবং জলবায়ুবান্ধব নীতি নেওয়া।