ইউরোপে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় খুব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অন্য যে কোনও সময়ের তুলনায় বর্তমানে ইউরোপ মহামারীতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার ক্লুগ বলেন, “এখন জোর পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।”
“ইউরোপের দেশগুলোর সরকারের জন্য বার্তা হচ্ছে: মহামারীর প্রথম দফায় (মার্চ এবং এপ্রিল) ক্ষতির কথা মাথায় রেখেও বেদনাদায়ক যেসব পদক্ষেপ আমাদের নিতে হয়েছিল, এবার তা এড়ানোর জন্য সেই তুলনায় ছোটখাটো পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্যে আটকে থাকবেন না।”
ইউরোপে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ একলাফে অনেক বেড়ে গেছে। ইউরোপজুড়ে দৈনিক নতুন করে ১ লাখ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তাছাড়া, সাপ্তাহিক হিসাবে সদ্যই ইউরোপে প্রায় ৭ লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে; মহামারী শুরুর পর থেকে যা সর্বোচ্চ।
গণমাধ্যমে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র ইউরোপীয় পরিচালক ক্লুগ বলেন, “ইউরোপে শীতের আগমনে ভাইরাস সংক্রমণের এই তীব্রতায় দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু দ্রুতই বেড়ে যাচ্ছে।”
“বিধিনিষেধ শিথিলের নীতি বেশিদিন চললে ২০২১ সালের জানুয়ারি নাগাদই দৈনিক মৃত্যু গত এপ্রিলের তুলনায় ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে।”
“অথচ এখনই মাস্ক পরা কিংবা ঘরে-বাইরে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রণ করার মতো সহজ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ফেব্রয়ারির মধ্যেই ইউরোপজুড়ে ২৮১,০০০ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।”
লন্ডনসহ কয়েকটি শহরে কড়া বিধিনিষেধ:
যুক্তরাজ্যে ইদানিং কোভিড-১৯ এর প্রকোপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় লন্ডন, এসেক্স, ইয়র্কসহ অন্য আরও কয়েকটি শহরে কড়া দ্বিতীয় স্তরের বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার থেকেই তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। ‘উচ্চ’ সতর্কতার এই স্তরের আওতায় পাব, রেস্তোরাঁয় যাওয়া নিষিদ্ধ এমনকী পরিবারিক দেখা সাক্ষাৎও বন্ধ থাকবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখন ‘উচ্চ’ এবং ‘অতি উচ্চ’ সতর্কতার বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক বলেছেন, “আমি জানি এসব বিধিনিষেধ সহজ ব্যাপার নয়, কিন্তু আমি এটাও জানি যে, এ পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি।”