রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সোমবার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে।
নোবেল প্রাইজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের এক টুইটে বলা হয়েছে, “নিলাম সবখানেই আছে এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেও এর প্রভাব আছে।”
“এবারের পুরস্কার জয়ী দুই অর্থনীতিবিদ নিলাম তত্ত্বের যে উন্নয়ন ঘটিয়েছেন এবং নতুন নিলাম পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তাতে বিশ্বজুড়ে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং করদাতারা উপকৃত হয়েছেন।”
মিলগ্রোম এবং উইলসন দুইজনই ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। নিলাম কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে গবেষণা করে পরবর্তীতে বাস্তবে এর প্রয়োগে অবদান রেখেছেন তারা।
তাছাড়া, যেসব পণ্য ও সেবা প্রচলিত পদ্ধতিতে বিক্রি করা কঠিন সেগুলোর নিলাম পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটানোর জন্যও মিলগ্রোম এবং উইলসনকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
‘তাদের আবিষ্কারে সমাজের অনেক বড় উপকার হয়েছে’- এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান।
গত বছরও অর্থনীতিতে নোবেল জিতেছিলেন তিন মার্কিন অর্থনীতিবিদ। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি। বিশ্বে দারিদ্র্য দূরীকরণে পরীক্ষামূলক গবেষণার জন্য তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেলের মধ্য দিয়ে চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, শান্তি ও সাহিত্য মিলিয়ে মোট ছয়টি ক্ষেত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হল।
এ বছর নোবেল পুরস্কারের সম্মানী বাড়িয়ে এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এমনিতে প্রতি বছর স্টকহোমে অনুষ্ঠান করে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। সেখানে তারা বক্তৃতাও দেন। তবে এবার করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে রাজকীয় সেই আয়োজন থাকছে না।
তার বদলে নোবেলজয়ীরা নিজের দেশে বসে ওয়েবিনারে অংশ নেবেন নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে। আগামী বছরের পুরস্কার বিতরণীতে তাদের স্টকহোমে আমন্ত্রণ জানানো হবে।