আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার টানা ১১ দিনের লড়াইয়ে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যে রুহানি এই সতর্কবার্তা দিলেন।
বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখের ভেতরে-বাইরে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সংঘাত এলাকার বাইরে আজরি শহরগুলো হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে আজারবাইজান। তুমুল লড়াই চালিয়ে আসা আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া বেসামরিক এলাকাগুলোতে হামলা নিয়ে একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে।
নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজারের ভিতরে হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে আর আর্মেনিয়া অঞ্চলটিকে সমর্থন দিচ্ছে।
২০১৬ সালের পর থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে এবারই সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে।গতমাসে উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের তীব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে সীমান্ত আছে ইরানের। ফলে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ইরান উভয়ের সঙ্গেই কথা বলছে। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সংঘাতে এরই মধ্যে তুরস্ক জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি টিভিতে এক বক্তব্যে বলেছেন, “আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের লড়াই যাতে আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ না নেয়, সেদিকে আমাদেরকে মনযোগী হতে হবে।”
“শান্তিই আমাদের কাজকর্মের মূল ভিত্তি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর আশা করছি। ইরান কোনও অযুহাতেই নিজেদের সীমান্তে কোনও রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী পাঠাতে দেবে না।”