মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ-ঝুঁকিতে থাকা জরুরি কর্মী এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে স্থানীয়ভাবে তৈরি টিকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি।
একারণে চীনের টিকার সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ওষুধ ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সমন্বয় কর্মকর্তা অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জরুরি ব্যবহারের তালিকায় চীন তাদের টিকার অন্তর্ভুক্তির জন্য এরই মধ্যে ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছে।
ডব্লিউএইচও’র তালিকাভুক্তির এই প্রক্রিয়ায় জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে লাইসেন্সবিহীন কোনও টিকা কিংবা চিকিৎসাকে দ্রুত সহজলভ্য করতে এর মূল্যায়ন করা হয়।
এই পদক্ষেপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘেরও বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার জন্য টিকার গ্রহণযোগ্যতা নিরূপণে সহায়ক হয়।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি ওষুধ ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সমন্বয় কর্মকর্তা বলেছেন, “জরুরি ব্যবহারের তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিকার গুনগত মান, নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে দেখা হতে পারে…এরপরই টিকাটি আমাদের লাইসেন্সের জন্য সহজলভ্য হতে পারে।”
চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের অন্তত চারটি টিকা বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ ধাপে রয়েছে।
এর মধ্যে দুটি টিকা তৈরি করেছে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)। আর বাকি দু’টো তৈরি করেছে সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং ক্যানসিনো বায়োলজিকস।
পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, রাশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোতে এসব টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে।