শুক্রবার ট্রাম্পকে মেরিল্যান্ডের ‘ওলটার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে’ ভর্তি করা হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর এক টুইটে ট্রাম্প নিজেই তার এবং মেলানিয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান।
টুইটের ১৭ ঘণ্টার মাথায় শুক্রবার বিকালে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার ‘মেরিন ওয়ান’ এ করে হোয়াইট হাউজ থেকে হাসপাতালে যান ট্রাম্প।
বিবিসি জানায়, হোয়াইট হাউজের লন ধরে হেঁটেই হেলিকপ্টারে উঠেছেন ট্রাম্প। তিনি মুখে মাস্ক পরে ছিলেন। সেখানে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি হাত নাড়েন এবং ‘থাম্বস আপ’ করেন, কিন্তু কোনো কথা বলেননি।
তবে টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে আমি খুব ভালো আছি। তবে আসলেই সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে কিছু পরীক্ষা করতে হবে। ফার্স্ট লেডিও খুব ভালো আছেন। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।”
ট্রাম্পকে ওলটার রিড হাসপাতালের ‘প্রেসিডেন্টশিয়াল স্যুটে’ ভর্তি করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী কয়েদিন ট্রাম্প সেখানে থেকেই নিজ দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তার প্রেস সচিব কেইলি ম্যাকএন্যানি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের বার্ষিক ‘চেক-আপ’ এর জন্য এই স্যুটে রাখা হয়।
ম্যাকএন্যানি বলেন, ‘‘মৃদু উপসর্গ দেখা দিলেও প্রেসিডেন্ট মানসিকভাবে চাঙ্গা আছেন এবং আজ সারাদিন কাজ করেছেন।”
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায় শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাম্প সমর্থকদের ছোট একটি দল ‘ট্রাম্প ২০২০’ লেখা পতাকা হাতে ওলটার রিড হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক নেই।
৭৪ বছরের ট্রাম্পের মৃদু জ্বর আছে। দুর্বলতাও দেখা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক শেন কনলি বলেন, ট্রাম্পকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
‘‘কিছুটা দুর্বলতা থাকলেও মানসিকভাবে তিনি চাঙ্গা আছেন।”