চীনের মহাপ্রাচীরের প্রবেশ নিষিদ্ধ অংশে চড়লেই জরিমানা

চীনে শুরু হচ্ছে ‘গোল্ডন উইক’। আট দিনের এই লম্বা ছুটিতে বেশির ভাগ চীনা ভ্রমণে বের হন। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিদেশ ভ্রমণ করতে না পারার কারণে এবার দেশীয় পর্যটকের ঢল নামবে। আর পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম স্থান চীনের মহাপ্রাচীর।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2020, 04:23 PM
Updated : 30 Sept 2020, 04:23 PM

তবে পর্যটকরা এই প্রাচীরের নির্ধারিত অংশই ভ্রমণ করতে পারবেন। অন্যথায়, শাস্তি হিসাবে গুণতে হবে জরিমানা।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়েই পর্যটন খাতের বেহাল দশা। চীন সরকার তাই নিজেদের পর্যটন খাতের উন্নয়নে দেশবাসীকে ভ্রমণে উৎসাহিত করছে। ‘গোল্ডেন উইক’ উপলক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। চীনে এ বছর ১ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ‘গোল্ডেন উইক’।

সপ্তাহব্যাপী এই ছুটি সামনে রেখেই চীনের মহাপ্রাচীর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটকরা প্রাচীরের নির্ধারিত অংশের বাইরে গেলেই তাদেরকে দুইশ থেকে ৩০ হাজার ইউয়ান জরিমানা গুণতে হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

‘গোল্ডেন উইক’ ঘিরে মহাপ্রাচীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়নও হবে।

চীনা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘এবছর ন্যাশনাল ডে হলিডে আট দিন। পর্যটকও বেশি থাকবে এবং ‘ওয়াইল্ড গ্রেট ওয়াল’ এ অনুপ্রবেশের চেষ্টাও বেশি হবে।

‘‘মহাপ্রাচীরের কিছু কিছু অংশ খুবই খাড়া এবং সেখানে উঠতে গিয়ে পর্যটকদের পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও অত্যন্ত বেশি। ওইসব অংশে পর্যটকরা গেলে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।”

চীনের মহাপ্রাচীরের খুব সামান্য অংশেই পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। বাকি হাজার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ স্থাপনাটি আদি ও অকৃ্ত্রিম আকারে রেখে দেওয়া হয়েছে।