থমকে যাওয়া শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করতে আস্থা গড়ার পদক্ষেপ হিসাবেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইয়েমেনে ৫ বছরের যুদ্ধে বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় চুক্তি। সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনায় এই সমঝোতা হয়।
জাতিসংঘে ইয়েমেনের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস রোববার দুপক্ষে এই চুক্তি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। রয়টার্সকে, তিনি বলেন, সংঘর্ষ চলার সময়ে এত বেশি সংখ্যক বন্দি বিনিময়কে খুবই বিরল ঘটনা হিসাবে দেখা হচ্ছে। কারণ, এমন বন্দি বিনিময় বেশিরভাগই সংঘর্ষ শেষের পর ঘটে থাকে।
কখন, কিভাবে বন্দি বিনিময় করা হবে তা সহ আনুষাঙ্গিক আরও কিছু বিষয় নির্ধারণ নিয়ে এখনও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি কাজ করছে। রেডক্রসই বন্দি হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে বলে জানান তিনি।
চুক্তি অনুযায়ী, ৬৮১ জন বিদ্রোহীকে হুতিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর হুতিরা ১৫ সৌদি ও চার সুদানিসহ সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী কর্মী মিলিয়ে মোট ৪০০ জনকে ছেড়ে দেবে।
এই বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধ অবসানে রাজনৈতিক সমাধান বয়ে আনার পথ প্রশস্ত হোক- এমন আশাই প্রকাশ করেছেন মার্টিন গ্রিফিথস।
সৌদি আরবও চুক্তিটিকে সমগ্রিকভাবে রাজনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রযাত্রা বলে বর্ণনা করে একে স্বাগত জানিয়েছে এবং এ প্রচেষ্টা ক্ষুন্ন না করার জন্য হুতিদের আহ্বান জানিয়েছে।
ওদিকে, হুতি পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভি চ্যানেলও এব বিদ্রোহীর উদ্ধৃতি দিয়ে এ চুক্তিতে পৌঁছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে, দুই পক্ষই এ চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আল-হাদরামিও চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন “এটি একটি মানবিক পদক্ষেপ।” তিনি বলেন, “এই চুক্তি বাস্তবায়নে যেন দেরি না হয়। এটি যেন বন্ধ না হয় সরকার সেটিই চায়।”