সুপ্রিম কোর্টে কনি ব্যারেটকে মনোনয়ন দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি পদে ফেডারেল আপিল কোর্টের রক্ষণশীল বিচারক এমি কনি ব্যারেটকে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2020, 03:50 AM
Updated : 27 Sept 2020, 04:45 AM

ব্যারেটের নিয়োগ মার্কিন সিনেটের ভোটে নিশ্চিত হলে তিনিই সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

শনিবার হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে ব্যারেটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাকে ‘অতুলনীয় কৃতিত্বের অধিকারী নারী’ বলে বর্ণনা করেন ট্রাম্প।

বিবিসি বলছে, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই মনোনয়ন নিশ্চিত করা নিয়ে সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তিক্ত লড়াই শুরু হতে পারে।

নিজের মনোনীত হিসেবে বিচারক ব্যারেটের নাম ঘোষণা করে ট্রাম্প তাকে ‘সংবিধানের প্রতি দৃঢ়ভাবে অনুগত বড় মাপের বিদ্বান ও বিচারক’ বলে অভিহিত করেন।

ট্রাম্প ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই নতুন বিচারপতির নিয়োগ নিশ্চিত করতে সিনেটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

অপরদিকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসকে নির্বাচিত না করা পর্যন্ত এই শূন্য পদ (সুপ্রিম কোর্টের) নিয়ে পদক্ষেপ’ না নেওয়ার জন্য সিনেটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আপিল কোর্টের রক্ষণশীল বিচারক এমি কনি ব্যারেট। ছবি: রয়টার্স

৪৮ বছর বয়সী এমি কনি ব্যারেট ধর্মীয় রক্ষণশীলদের পছন্দনীয় ব্যক্তিত্ব। ২০১৭ সালে ট্রাম্প শিকাগো-ভিত্তিক সপ্তম ইউএস সার্কিট আপিল কোর্টে ব্যারেটকে নিয়োগ করেছিলেন।

তার নিয়োগ নিশ্চিত হলে ব্যারেট হবেন সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিয়োগকৃত তৃতীয় বিচারপতি। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীল বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াবে ৬-৩ এ। এমন হলে আগামী কয়েক দশকের জন্য সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেদের অনুকূলে থাকার সুবিধা পেয়ে যাবে রিপাবলিকানরা।

কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা আমৃত্যু এ পদে থাকার সুযোগ পান।

ফলে ডেমোক্র্যাটরাসহ নানা নাগরিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উদারনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ব্যারেটের এ নিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

গত ১৮ সেপ্টম্বরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মৃত্যু হয় বিচারপতি গিন্সবার্গের। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোটে নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় নারী বিচারপতিও ছিলেন গিন্সবার্গ।

তার মৃত্যুতে সর্বোচ্চ আদালতের খালি হওয়া বিচারপতির আসন পূরণ নিয়ে ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের রাজনৈতিক বিরোধ দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তড়িঘড়ি এ পদ পূরণ করতে চাইছেন আর ডেমোক্র্যাটরা এ প্রক্রিয়া পিছাতে চান।

গিন্সবার্গের উত্তরসূরি নিয়োগে ট্রাম্পের তাড়াহুড়োয় শঙ্কিত ডেমোক্র্যাটরা। তাদের আশঙ্কা, রিপাবলিকানরা এমন একজনকে মনোনয়ন দেবে, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠতা কয়েক দশকের জন্য নিশ্চিত করে ফেলবে।

আরও পড়ুন-