ফ্রান্সে ছুরি হামলা ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’, আটক ৭

ফ্রান্সের রম্য ম্যাগাজিন শার্লি এবদুর পুরনো কার্যালয়ের বাইরে ছুরি হামলার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2020, 09:01 AM
Updated : 26 Sept 2020, 09:01 AM

শুক্রবারের এ হামলায় মাংস কাটার চাপাতির আঘাতে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

সন্দেহভাজন হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর, তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। হামলার কিছু সময় পরই ঘটনাস্থলের কাছ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে সন্দেহে আরও ছয়জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল ডারমানো বলেছেন, শার্লি এবদুর পুরনো কার্যালয়ের বাইরে হামলাটি ‘স্পষ্টতই ইসলামী সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড’। ওই এলাকায় যে এ সময় হামলার ঝুঁকি আছে, পুলিশ তা গুরুত্ব সহকারে নেয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

বিতর্কিত কার্টুন ছাপার জেরে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি প্যারিসে শার্লি এবদু কার্যালয়ে ঢুকে গুলি চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করে উগ্রপন্থি মুসলিম দুই ভাই। সেবারের ওই হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

সন্ত্রাসী ওই হামলার পরপরই শার্লি এবদু তাদের কার্যালয় স্থানান্তর করে নেয়। রম্য এ ম্যাগাজিনটি এখনও তাদের নতুন ঠিকানা প্রকাশ করেনি।

২০১৫ সালের ওই হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে প্যারিসের আদালতে ১৪ জনের শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে। এমন একটি সময়েই পত্রিকাটির পুরোনো কার্যালয়ের বাইরে এই ছুরি হামলা হল।

শুক্রবারের হামলায় আহত দু’জনের নাম পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী, জানিয়েছে পুলিশ। এ দু’জন একটি প্রোডাকশন কোম্পানিতে কাজ করেন।

আহত দুজনের অবস্থাই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স।

শুক্রবার রাতে সম্প্রচারমাধ্যম ফ্রান্স ২ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডারমানো বলেছেন, “আমাদের দেশের বিরুদ্ধে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে  এক নতুন রক্তাক্ত হামলার ঘটনা ঘটল। এটা সেই সড়ক যেখানে শার্লি এবদু থাকার কথা ছিল। ইসলামী সন্ত্রাসীরা এভাবেই কাজ করে।”

কয়েকদিন পরই ইহুদি দিনপঞ্জির সবচেয়ে পবিত্র দিন ইয়ম কিপ্পুর থাকায় তাদের প্রার্থনালয় সিনাগগের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ফরাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

শুক্রবারের হামলার প্রধান সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করা না হলেও তিনি ৩ বছর আগে ফ্রান্সে এসেছিলেন, ডারমানো জানিয়েছেন।

সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশের অপরিচিত ছিল না; তবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তি যে উগ্রবাদে দীক্ষিত হয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা জানতো না।

গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন এর আগে স্ক্রু-ড্রাইভারসহ আটক হয়েছিলেন বলে জানালেও ডারমানো এ প্রসঙ্গে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি।