ব্লু হাউজ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কিম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইনের কাছে পাঠানো চিঠিতে বার বার এ ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি বলেছেন।
কিম প্রেসিডেন্ট মুনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো ওই চিঠিতে লেখেন, তিনি মুন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের কাছে ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করছেন। এ ঘটনায় তিনি ‘অত্যন্ত হতাশ’ হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, নিহত ৪৭ বছরের ওই ব্যক্তি সম্ভবত পালিয়ে উত্তর কোরিয়া চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিজেদের জলসীমায় তাকে ভাসতে দেখে গুলি করে এবং মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়।
দুই কোরিয়ার সীমান্তে এমনিতে কঠোর পাহারা থাকে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কড়াকড়ি আরো বাড়ানো হয়েছে। বিবিসি জানায়, দেশে করোনাভাইরাসের প্রবেশ আটকাতে উত্তর কোরিয়া খুব সম্ভবত সীমান্তে ‘গুলি করে হত্যার’ নীতি গ্রহণ করেছে। যাতে বাইরে থেকে মানুষের প্রবেশ আটকানো যায়।
প্রেসিডেন্ট মুনের কাছে পাঠানো চিঠিতে উত্তর কোরিয়া এ ঘটনা নিয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে ১০টির বেশি গুলি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ার জলসীমায় প্রবেশের পর নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক সুহ হুন এ বিষয়ে আরো বলেন, উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে তারা ওই ব্যক্তির মৃতদেহ জ্বালিয়ে দিতে চায়নি। কিন্তু গুলি করার পর ওই ব্যক্তি ‘যে বস্তুর উপর ভাসছিলেন’ সেটি থেকে তার মৃতদেহ সেনারা আলাদা করতে পারেনি’।
‘‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উত্তর কোরিয়া যে জরুরি আইন জারি করেছে তার অধীনে সেনারা পরে ভাসমান বস্তুটি জ্বালিয়ে দেয়।”