জাপানে বিয়ে করলে মিলবে ৬ লাখ ইয়েন

নবদম্পতিদের নতুন জীবন শুরুর সময় বাসাভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটাতে সর্বোচ্চ ৬ লাখ ইয়েন পর্যন্ত দেওয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2020, 06:46 AM
Updated : 25 Sept 2020, 07:03 AM

তবে সবাই এ ‘উপহার’ পাবেন না। যেসব পৌরসভা জাপানের ‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রাম’ হাতে নিয়েছে, কেবল সেসব পৌরসভার বাসিন্দারাই এ অর্থ পাবেন।

এক্ষেত্রে নতুন বিয়ে করা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের বয়সই ৪০ এর নিচে থাকতে হবে; দুজনের সম্মিলিত আয়ও কোনোভাবেই ৫৪ লাখ ইয়েনের বেশি হতে পারবে না।

সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে বিয়েতে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার নতুন এ নিয়ম চালুর চিন্তাভাবনা চলছে বলে রোববার জাপান সরকারের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে কিয়োডো নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অবিবাহিত থাকতে চাওয়া ও দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতার কারণে জাপানে এমনিতেই শিশু জন্মহার অত্যন্ত কম।

জন্মহার বাড়াতেই দেশটির সরকার এখন বিয়েতে প্রণোদনা প্রকল্পের আওতা বাড়িয়ে নবদম্পতিদের বেশি অর্থ এবং বয়সের সীমা খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে।

‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রামে’ এখন স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বয়স ৩৫ এর কম এবং সম্মিলিত আয় ৪৮ লাখ ডলারের নিচে হলে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ইয়েন পর্যন্ত সহযোগিতা মেলে।

চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত জাপানের মাত্র ২৮১টি পৌরসভা এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে, যা দেশটির ছোটবড় শহর ও গ্রাম মিলিয়ে থাকা পৌরসভার মাত্র ১৫ শতাংশ। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, নবদম্পতিদের সহযোগিতার অর্ধেক অর্থ বহন করে পৌরসভা; বাকিটা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে বেশি সংখ্যক নবদম্পতিকে অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা কার্যকর হলে ‘উপহার’ হিসেবে দেওয়া অর্থের দুই-তৃতীয়াংশই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয়ের কয়েকটি সূত্র।

জাপানে জন্মহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিয়েতে আর্থিক প্রণোদনা বেশ কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

দেশটিতে ২০১৫ সালে এক জরিপে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী অবিবাহিত পুরুষদের ২৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং অবিবাহিত নারীদের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশই বিয়ে না করার জন্য অর্থের অভাবকে দায়ী করেছিলেন।

জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড স্যোশাল সিকিউরিটি রিসার্চ ওই জরিপটি করেছিল।