‘ঘরে থেকে কাজ করুন’, জনগণকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

যুক্তরাজ্যে দ্রুতগতিতে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জনগণকে সম্ভব হলে বাড়িতে থেকে কাজ করতে বলেছেন। দেশজুড়ে নতুন করে কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 22 Sept 2020, 01:19 PM
Updated : 22 Sept 2020, 01:19 PM

ইউরোপ জুড়ে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, যাকে মহামারীর ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে গত মার্চে যুক্তরাজ্যে প্রথম দফায় লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল। সেখানে আবারও যে গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে তা ঠেকাতে এরই মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে লকডাউন জারি করা হয়েছে।

জনসন নিজেও ইংল্যান্ডে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন, যাতে দ্বিতীয় দফা লকডাউন আরোপ করতে না হয়। লকডাউনে অর্থনীতির চাকা পুরোপুরি থেমে যায়। যা অর্থনীতিকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ইউরোপে প্রথম দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাজ্য।

গত কয়েক সপ্তাহে সেখানে আবার যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এখনই যথাযথ এবং কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে আগামী মাসের মধ্যভাগে দৈনিক শনাক্ত ৫০ হাজারে উঠে যাবে বলে আশঙ্কা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। সেটা হলে তার পরের মাস, অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝিতে দৈনিক মৃত্যু দুইশ’ ছাড়িয়ে যাবে।

বিজ্ঞানীরা এ আশঙ্কা প্রকাশের পর মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন জনসন। মঙ্গলবার বৈঠকের পর তিনি পার্লামেন্টে এ নিয়ে কথা বলবেন এবং তারপর জিএমটি ১৯:০০ তে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

সেখানে জনগণের জন্য নতুন নির্দেশনা আসতে পারে। যদিও কয়েক সপ্তাহ আগেই জনসন জনগণকে আবারও বাড়ি থেকে কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবার তিনি সম্ভব হলে অবশ্যই বাড়িতে বসে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এছাড়া, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ইংল্যান্ড জুড়ে সব বার, রেস্তোরাঁ, পাব এবং অন্যান্য অতিথিশালা রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে।

ওদিকে, জনসন যখন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার কথা ভাবছেন, তখন বিরোধী লেবার পার্টির নেতারা বলছেন, তিনি আসলে আবারও ভাইরাস পরিস্থিতির উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন।

লেবার নেতা কেইর স্টারমার বলেন, ‘‘মুঠি শক্ত করার পরিবর্তে সরকার আবার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে....যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঠিক তখনই আমাদের ভাইরাস পরীক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।”