ট্রাম্পের সুপ্রিম কোর্ট পরিকল্পনা ক্ষমতার অপব্যবহার: বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য প্রয়াত বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গের স্থলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগ ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’। ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন এই মন্তব্য করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2020, 01:12 PM
Updated : 21 Sept 2020, 01:12 PM

বিচারপতির শূন্য পদ পূরণে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটাভুটিতে না যেতে সিনেটের রিপাবলিকানদের আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন।

যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তড়িঘড়ি বিচারপতির পদ পূরণ করতে চাইছেন। আগামী সপ্তাহেই একজন নারীকে এ পদে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গিন্সবার্গের মৃত্যুতে সর্বোচ্চ আদালতের খালি হওয়া বিচারপতির আসন পূরণ নিয়ে ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের তুমুল রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে শনিবার ট্রাম্প একথা জানান।

এরপরই রোববার বাইডেন ফিলাডেলফিয়ায় বলেছেন, “ট্রাম্প তার ক্ষমতা চর্চার বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন- এটি খুবই সুস্পষ্ট এবং সহজেই বোধগম্য।”

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান আমেরিকানদের মত প্রকাশের সুযোগ দিয়েছে, তাদের সেই মত শোনা উচিত… তারা যে ক্ষমতার অপব্যবহারের পক্ষে দাঁড়াবে না সেটি তাদের স্পষ্ট করে বলা উচিত।”

“সিনেটের রিপাবলিকানদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনারা আপনাদের বিবেকের কথা শুনুন, মানুষকে কথা বলতে দিন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন ঠান্ডা হতে দিন।”

বাইডেন আরও বলেন, নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে ট্রাম্পের মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন। তারপর তার পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে দুই দলেরই সিনেটরদের সঙ্গে কথা বলবেন।

অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত নারী বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গ গত শুক্রবার ৮৭ বছর বয়সে মারা যান। নভেম্বরের আসন্ন নির্বাচনের আগে দিয়ে তার মৃত্যু ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুঃসংবাদ হিসেবে হাজির হয়েছে।

গিন্সবার্গের উত্তরসূরি নিয়োগে ট্রাম্পের তাড়াহুড়োয় শঙ্কিত ডেমোক্র্যাটরা। তাদের আশঙ্কা, রিপাবলিকানরা এমন একজনকে মনোনয়ন দেবে, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠতা কয়েক দশকের জন্য নিশ্চিত করে ফেলবে।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সুপ্রিম কোর্টে দুইজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। ফলে আদালতের নয় সদস্যের বেঞ্চে রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-৪ এ।

গিন্সবার্গের মৃত্যুর পর সেখানে একজন রক্ষণশীলকে নিয়োগ দিয়ে এ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আরও বাড়িয়ে ৬-৩ করতে পারেন ট্রাম্প। আর তা সম্ভব হলে আগামী কয়েক দশকের জন্য সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেদের অনুকূলে থাকার সুবিধা পাবে রিপাবলিকানরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়াটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্টই নিজের পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এরপর সিনেট ভোটে সেই প্রার্থীর নিয়োগ নিশ্চিত করে কিংবা প্রত্যাখ্যান করে থাকে।