লন্ডনে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভে সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৩২

যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকার পুনরায় লকডাউন আরোপের যে পরিকল্পনা করছে তার বিরুদ্ধে শনিবার লন্ডনে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 20 Sept 2020, 03:02 PM
Updated : 20 Sept 2020, 03:02 PM

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। অন্তত ৩২ বিক্ষোভকারীকে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুধু যুক্তরাজ্য নয় বরং পুরো ইউরোপ জুড়েই আবারও কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশজুড়ে পুনরায় লকডাউন আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। জনসন নিজের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দুয়ারে চলে গিয়েছিলেন।

কিন্তু লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বের সব দেশেই অর্থনীতির চাকা মন্থর হয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন।

লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা শনিবার ‘কোভিড একটা গুজব’, ‘আমার দেহ, আমার পছন্দ: মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক না” লেখা ব্যানার হাতে বিক্ষোভ করে। তারা পুলিশকে উদ্দেশ করে ‘তোমার পক্ষ বেছে নাও’ বলেও স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া আগে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বিক্ষোভকারীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের শত্রু ভাবছে এবং তাদের সঙ্গে নৃশংস আচরণ করেছে। তাই আমরা এখন বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে বল প্রয়োগ করতে যাচ্ছি।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি কমাতে যুক্তরাজ্যে একসঙ্গে ছয়জনের বেশি মানুষের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে। ফলে লকডাউন বিরোধী এ বিক্ষোভ আইনত বৈধ নয়।

শুধু রাজনৈতিক প্রতিবাদের ক্ষেত্রে এই বিধি কিছুটা শিথিল করা আছে। তবে সেক্ষেত্রে বিক্ষোভ আয়োজকদের এবং অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে চলতে হবে।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যই কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে। সেখানে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

সম্প্রতি স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দান ইংল্যান্ডে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সেসব এলাকায় স্থানীয়ভাবে বাড়িতে বন্ধু-স্বজনদের নিমন্ত্রণ এবং পাব ও রেস্তোরাঁ খোলা ও বসার উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।