তাইওয়ানে মার্কিন কর্মকর্তার সফরে ক্ষুব্ধ চীন শুক্রবার তাইওয়ান প্রাণলীতে সামরিক মহড়া চালানো ঘোষণা দেয়।
তাইপে-ওয়াশিংটনের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রত্যক্ষ করে চীন সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে মহড়া জোরদার করেছে। গত সপ্তাহেও চীন ওই এলাকায় আকাশ এবং সমুদ্রে দুইদিনের মহড়া চালিয়েছে।
শুক্রবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্রাচের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনদিনের সফরে ক্রাচ বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে’তে নামেন।
চীন সঙ্গে সঙ্গেই এর ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানায়। এরপর শুক্রবারেই ১৮ টি চীনা বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মিডলাইনের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
টুইটারে ইংরেজি ভাষার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, “১৮ সেপ্টেম্বরে দুটি এইচ-৬, আটটি জে-১৬, চারটি জে-১০ এবং চারটি জে-১১ জঙ্গি বিমান তাইওয়ানপ্রণালীর মিডলাইন পার হয়ে তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমের এডিআইজেড (এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন)-এ প্রবেশ করেছে।”
এই চীনা জঙ্গিবিমানগুলো যে পথ দিয়ে উড়ে গেছে তার একটি মানচিত্র দেখিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। সেগুলোর তাইওয়ানপ্রণালী মিডলাইন পেরোনোরও প্রমাণ দিয়েছে তারা। সাধারণত কোনও পক্ষেরই জঙ্গি বিমান এই মিডলাইন পেরোয় না।
কিন্তু এবার তাইওয়ানের ভাষ্যমতে, চীন সেখানে একগাদা জঙ্গি বিমান উড়িয়েছে। তাইওয়ানের লিবার্টি টাইমস নিউজপেপার বলেছে, চীনের জঙ্গিবিমানগুলোকে দূরে সরে যাওয়ার সতর্কবার্তা দিয়ে তাইওয়ানের জঙ্গিবিমানগুলো শুক্রবার সকালে ৪ ঘন্টা ধরে ১৭ বার আকাশে চক্কর দিয়েছে।
তাছাড়া, তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের হুয়ালিয়েন বিমান ঘাঁটিতে এফ-১৬ জঙ্গিবিমানে ক্ষেপণাস্ত্র ভরার একটি ছবিও ছাপিয়েছে পত্রিকাটি।
ওদিকে, বেইজিংয়ে শুক্রবার সকালের এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “চীন আদতে তাইওয়ান প্রণালীর কাছে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। ওই প্রণালীতে বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে আঞ্চলিক অখন্ডতা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় এই মহড়া চালানো যুক্তিসঙ্গত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।“
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই বিবেচনা করে আসছে। তাইপে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা।