সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব জাভার গ্রেসিক রেজেন্সির কারমে এলাকায় মাঝ-বয়সী তিন পুরুষ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ৫ জনকে মাস্ক না পরায় এই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইন্দোনেশিয়াজুড়ে মাস্ক পরে চলাফেরা বাধ্যতামূলক হলেও এখনও মাস্ক পরছেন না অনেকেই, মানছেন না সামাজিক দূরত্বও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসচেতনতার অভাবের কারণে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষের জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, দেশটিতে এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে প্রায় ২৩০,০০০ জন। আর মারা গেছে অন্তত ৯ হাজার ১শ’ জন।
সম্প্রতি কয়েকমাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইন্দোনেশিয়া সরকার গত জুলাইয়ে জনসাধারণের জন্য মাস্ক পরার আইন পাস করেছে। আর এই আইন অমান্যকারীদের শাস্তি দেওয়ার ভার ছেড়ে দিয়েছে স্থানীয় এলাকার কর্মকর্তাদের ওপর।
ইন্দোনেশিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেস, ইন্দোনেশিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ এবং স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার যৌথ দল এই মাস্ক পরার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে আছে। দলটিকে বলা হচ্ছে ‘থ্রি পিলারস’।
পূর্ব জাভার কারমে এলাকায় কেউ মাস্ক পরার নিয়ম ভাঙলে এই ‘থ্রি পিলারস’ তাদেরকে হয় ১৫০,০০০ রূপি জরিমানা করছে কিংবা ‘সামাজিক শাস্তি’র ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার নেতা সুয়োনো।
সিএনএন-কে তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষ সামাজিক সাজাই মেনে নিচ্ছে। এ ধরনের সাজার ক্ষেত্রে প্রায়শই কান ধরে ওঠাবসা কিংবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মত কাজ করানো হয়।
তবে কবর খোঁড়ানোর মত সাজা আরও বেশি শিক্ষামূলক হবে এবং কোভিড-১৯ এর মারাত্মক পরিণতি মানুষ নিজে চোখে দেখে সতর্ক হবে বলেই মনে করেন সুয়োনো। যদিও এমন সাজা যাদেরকে দেওয়া হয়েছে, মৃতদেহ কবর দেওয়ার সময় তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তাতেও এমাসের শুরুর দিকে এ ধরনের সাজার পদক্ষেপ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এক ব্যক্তি মাস্ক না পরায় তাকে একটি কফিনে শুইয়ে রাখা হয়। তবে এমন অভিনব সাজার ফলে ইন্দোনেশিয়ায় মানুষের মাস্ক পরা বেড়েছে কিনা তা জানা যায়নি।